আরিফ বাদশা,জামালগঞ্জঃ
ছোটবেলা থেকেই খবরের কাগজ পড়া আমার নেশা। খবরের কাগজ পড়া কিংবা টিভিতে সংবাদ দেখা এসবের প্রতি জোঁক ছিলো আমার। আমি যখন ক্লাস ৫ পড়ি তখন থেকেই নিয়মিত নিউজপেপার পড়ি। প্রতিদিন ক্লাসের পড়া কিংবা হোমওয়ার্ক করতে ভূল করলেও পত্রিকা পড়া কখন মিস হয় নি আমার। প্রতিদিন প্রায় ২-৩ ঘন্টা আমি পত্রিকা পড়তাম আমি। বইয়ের পড়া ভালো লাগতো না। অজানাকে জানার খুব ইচ্ছে আমার তাই চারপাশের ঘটে যাওয়া দৈনন্দিনের ঘটনাগুলো জানতে খবরের কাগজে চোখ বুলাতাম। প্রথম আলো ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা পড়ার জন্য প্রতিদিন বিকেলে আংকেলের দোকানে যেতাম। সাপ্তাহিত সুনামকন্ঠও পড়তে ভূলতাম না কখনও। যখন সুনামকন্ঠ দৈনিকে রূপান্তরিত হয় তখন আমার নিয়মিত পত্রিকার পড়ার সংখ্যাটা তিনে এসে পড়ে। ২০১২ সাল থেকে যখন আমি মোবাইল ব্যবহার করতে শিখি তখন ইন্টারনেটে পত্রিকা পড়া শুরু করি, এখন কাগজের পত্রিকা তেমন পড়া হয় না বললেই চলে। তবে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ইন্টারনেটে পত্রিকা পড়া আমি মিস করি না! পত্রিকা পড়তে পড়তে লিখতেও ইচ্ছে হয় আমার। ২০১৫ সালে কলেজে উঠার পর থেকে ফেইসবুকে একাউন্টে লেখতাম চারদিকের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আমার লেখাপড়ে অনেকে উপহাসও করতো। সাংবাদিকদের লেখাগুলো পড়তে পড়তে আমারও ইচ্ছা জাগে ইস! আমি যদি সাংবাদিক হতে পারতাম। আমি যদি পত্রিকায় লেখতে পাড়তাম। পত্রিকা আর অনলাইনের সংবাদগুলো দেখে মনে হতো, আমি কবে এমন করে লিখতে পারবো। আমার ইচ্ছে ছিলো সাংবাদিক হওয়ার। হঠ্যাৎ দৈনিক সুনামকন্ঠ একদিন পত্রিকা পড়ার সময় চোখ পড়ে একটা বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনে জেলার শীর্ষ নিউজ অনলাইন পোর্টাল হাওর টুয়েন্টিফোরে সাংবাদিক নিয়োগ আবশ্যক। কথা হয় সম্পাদক ও প্রকাশক শামস শামীম ভাইয়ের সাথে উনার কথামতো প্রথমে মেসেঞ্জারে নিউজ পাঠাতাম। তখনও আমি ইমেইল কিভাবে করা জানতাম না। তখন থেকেই শুরু হয় আমার সাংবাদিকতা। দিনটি ছিলো ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই সেদিন আমার প্রথম নিউজ প্রকাশ হয়। সেদিন আমার কি যে আনন্দ লেগেছিলো বলে বুঝাতে পারবো না। এর পর থেকেই সংবাদ পাঠক থেকে সংবাদ লেখক হয়ে উঠার গল্প শুরু হয় আমার।
সাংবাদিকতায় আসতে চাই,হলুদ নয় নিখুঁত সাদা। আসলে সাংবাদিকের কলমের শক্তি অনেক। সাংবাদিকতা করতে চাই সারা জীবন। কেমন একটা আত্নিক টান তৈরি হয়েছে কলম,কি-র্বোড আর ক্যামেরার সঙ্গে।