হাওর ডেস্ক ::
তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়েন অন্তর্ভুক্ত মাটিয়ান হাওরের আনন্দনগর গ্রামসংলগ্ন ফসলরক্ষা বাঁধটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হাওরসংলগ্ন বৌলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শনিবার রাতে ফাটল ধরে ধসে যায় বাঁধের মাটি। এতে করে হুমকিতে পড়েছে উপজেলার অন্যতম বৃহৎ মাটিয়ান হাওরের ৮ হাজার একর জমির বোরো ধান।
তবে বাঁধটি রক্ষায় শনিবার রাত থেকেই বাঁধে কাজ শুরু করছে সংশ্লিষ্ট ৪৪ নম্বর বাঁধের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি।
এখন পর্যন্ত মাটিয়ান হাওরের এই বাঁধটি রক্ষায় কাজ চলছে। তবে এখনো বাঁধটি ঝুঁকিমুক্ত হয়নি। যেকোনো সময় বাঁধে আরো বড় ধসের আশঙ্কা করছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা। হাওরটিতে বছরে একটিমাত্র ফসল বোরো ধান আবাদ করা হয়। বছরের বাকি সময় পানিতে ডুবে থাকে হাওরটি। তাই বাঁধ নির্মাণ হয় ডুবন্ত বাঁধ হিসাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাঁধটিতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ছিল ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৪ টাকা। তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, মাটিয়ান হাওরের একফসলি ৮ হাজার একর জমিতে এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
মাটিয়ান হাওরের কৃষক রিপচান মিয়া বলেন, ‘নদীর পানি থেকে বাঁধ আরো ১০ ফুট উঁচু রয়েছে। কিন্তু বাঁধের কাজে অনিয়মের কারণে পানির অল্প চাপেই বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঁধকে ঝুঁকিতে ফেলে এখন বাঁশ-চাটাই দিচ্ছে। নিয়মানুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। ‘
সংশিষ্ট প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি জিলিম মিয়া বলেন, ‘বাঁধে বাঁশ চাটাই দেওয়ার বরাদ্দ ছিল না। আমি মাটির কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন অতিরিক্ত কাজ করছি। তিনি বলেন, বাঁধটির হাওরের দিকে ডোবা সেচার কারণে বাঁধে ফাটল ধরেছে। ‘
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, ‘বাঁধে মাটি ধসের খবর পেয়েই ইউএনও, এসিল্যান্ড ও কৃষি কর্মকর্তাসহ সবাই গভীর রাত পর্যন্ত বাঁধে কাজ করেছি। তবুও এখন পর্যন্ত বাঁধটি ঝুঁকিমুক্ত করা যায়নি। ‘
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, ‘বাঁধটির ভেতরে একটি ডোবা ছিল। ডোবাটি সেচে মাছ ধরার কারণে বাঁধটি ধসে যায়। বাঁধটি রক্ষায় সবাই মিলে কাজ করছি। ‘