বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ভেজাল কীটনাশক ও সরকারের ভর্তুকি দেওয়া ২৭১ বস্তা সারসহ তাহিরপুর থেকে কালোবাজাওে অন্যত্র সড়িয়ে নেয়ার সময় একটি হঞ্জিন চালিত বড় নৌকা আটক করে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কিটনাশক ও সারের এ চালানটি আটক করে থানা পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাহিরপুর থানার এস আই মো. আবু বকর সিদ্দিক ও এসআই মো. নাজমুল হকের নেতেৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের রক্তি নদীর নৌপথে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরবগামী ইঞ্জিনচালিত নৌকা, থেকে কিটনাশক ও সার আটক করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নৌকাটি ভৈরব কলাপাড়া গ্রামের শওকত মাঝির মালিককানাধীন নৌকা এটি। নৌকাটি ইতিপূর্বেও ভারতীয় অবৈধ মালামাল পরিবহণ করায় নৌকাটি জব্দ করেছিল সুনামগঞ্জ বিজিব।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে নৌকার মাঝিসহ ৩জনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় এস আই মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে আটক নৌকার মাঝি ভৈরব উপজেলার লুন্দিয়া কলাপাড়া গ্রামের মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে শওকত মিয়া (৫৫) ওরফে শওকত মাঝি ও তার ছেলে ইকবাল হোসেন (২২) এবং নৌকার সহকারী তাহিরপুর উপজলার বিন্দারবন্দ গ্রামের আ. গফুরের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৭)সহ আরো তিন জনকে পলাতক আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে একাধিক কার্টুনভর্তি ভেজাল কীটনাশকের বোতল ও সরকারি ভর্তুকির ২৭১ বস্তা ডিএপি (দানাদার) সার জব্দ করা হয়। এ সময় নৌকার মালিক, মাঝি ও সুকানিসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
তাহিরপুর থানা সুত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা পুলিশকে জানায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজারে ডিএপি সার ও কীটনাশকের চালান পৌঁছে দিতে তাহিরপুরের বিসিআইসি নিয়োজিত ডিলার রাবেয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান নৌকাটি ভাড়া করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিসিআইসি নিয়োজিত ডিলার হাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তাহিরপুর উপজেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, নৌপথে কালো বাজারে পাচারকালে সরকারের ভর্তুকির সার ও ভেজাল কীটনাশক আটকের খবর পেয়ে আইনিব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট খো পর্যন্ত তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফতার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় এস আই মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে আটক নৌকার মাঝি ভৈরব উপজেলার লুন্দিয়া কলাপাড়া গ্রামের মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে শওকত মিয়া (৫৫) ওরফে শওকত মাঝি ও তার ছেলে ইকবাল হোসেন (২২) এবং নৌকার সহকারী তাহিরপুর উপজলার নিন্দারবন্দ গ্রামের আ. গফুরের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৭) সহ আরো তিন জনকে পলাতক আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) তাহিরপুর থানার এসআই মো. নাজমুল হক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে। পলাতক আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।