তমাল পোদ্দার, ছাতকঃ
ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণ করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে সুরমা নদীর উপর নবনির্মিত সেতুতে। সায়মন (১৩), তাহসিন (১৬), তানজিদ (১৪) সহ গুরতর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া হুশিয়ার আলী (৪০), আবু তালেব (১৫), দেলোয়ার হোসেন (৩৬), রাব্বানী মিয়া (১৮ ) ও অন্যান্য আহতদের দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকেই। স্থানীয়রা জানায়, শহরের বাঁশখলা ও নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাহন গ্রামের দুই কিশোরের মধ্যে মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিও ধারন নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত দর্শনার্থী প্রাণ রক্ষার্থে সেতু থেকে নামতে দিকবেদিক ছুটাছুটি শুরু করে। খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। জানা গেছে, ছাতকের সুরমা নদীর উপর নবনির্মিত সেতুতে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। সম্প্রতি স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকেও সেতুতে পর্যটকদের আনাগোনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এখানে লোকসমাগম আরো বৃদ্ধি পায়। ওই কারনে সেতুটি এখন অঘোষিত পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। এরই মধ্যে সেতুতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বখাটেদের আনাগোনা, টিকটক বিবর্জিত অশ্লীলতা ও কিশোর গ্যাং উৎপাত। বখাটে অশ্লীল নাচ গানে মিশ্রিত টিকটক ভিডিও ধারণ চলছে সেতুতে নিত্যদিন। অভিযোগ উঠেছে, টিকটকসহ বিভিন্ন নাম নিয়ে গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা সেতুতে আগত দর্শনার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ সেতুতে আগত দর্শনার্থী নারী পুরুষ। শিশুরাও এখানে নিরাপদ নয়। এব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পর সেতুতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।