অনলাইন ডেক্স::
মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনার কথা জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভার রদবদল প্রধানমন্ত্রীর এরিয়া। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। তিনি কাকে রাখবেন কাকে বাদ দেবেন তার এখতিয়ার। তবে মন্ত্রিসভায় একটা রদবদল হতে পারে। রদবদল কোন সময় হবে, তা ঠিক জানি না।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেতু ভবনে অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টির বিষয়টি নাকচ করে দেন কাদের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা স্রেফ গুজব। এ রকম কোনও চিন্তা-ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত: উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে এ পদে বসানো হচ্ছে এমন গুজব গত কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিদেশিদের নাক গলানো প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বাংলাদেশকে এখন খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ এখন অনেক উচ্চতায়। আমাদের এখানকার গণতন্ত্রের বিষয় আমরাই দেখবো। বিরোধী দলের সঙ্গে কোনও সমস্যা হলেও সেটা আমরাই সমাধান করবো। সবাইকে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই- বাংলাদেশকে কারও উপদেশ বা পরামর্শ দেওয়ার দরকার নেই। অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কারও অহেতুক নাক গলানোর দরকার নেই। এখানে কোনও সমস্যা হলে জনগণ চাপ দিয়ে তার সমাধান করবে। বাংলাদেশ কারও চাপে নতি স্বীকার করবে সেই অবস্থায় আর নেই।
অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনারের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে কথা হয়েছে উল্লেখ করে সেতু মন্ত্রী বলেন, বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে নির্বাচন নিয়ে তাদের কৌতূহল ছিলো। আমরা বলেছি, আমাদের এখানে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা পাবে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে তারা কেবল রুটিন কাজগুলো করবে। বড় ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। নির্বাচনের সময় সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও দফতর কমিশনের অধীনে থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তখন কমিশনের ইচ্ছায় চলবে। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে তা ইসি ঠিক করবে। এখানে আমাদের কিছু করণীয় থাকবে না।
ইসির রোডম্যাপ বিষয়ে বিএনপির মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, রোডম্যাপ সরকারের বিষয় নয়। আর এটা কোরান বা বাইবেল নয় যে পরিবর্তনযোগ্য নয়। কারও কোনও সুন্দর পরামর্শ থাকলে নিশ্চয়ই ইসি তা গ্রহণ করবে। অবশ্য বিএনপি রোডম্যাপ নিয়ে বলতে গিয়ে এমন সব কথা বলছেন, মনে হচ্ছে পথিক পথ হারিয়েছে। বোধ হয় পথ হারিয়ে দিশাহারা হয়ে এমনটি বলছে তারা।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিএনপির এক নেতা দীর্ঘদিন বিদেশে। চেয়ারপারসনও দুইমাসের জন্য বিদেশে গেছেন। এসময় ফখরুল সাহেবের ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার কথা-বার্তায় মনে হচ্ছে হতাশা কাজ করছে। তাছাড়া গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, খালেদা জিয়া চলে গেছেন, আর আসবেন কিনা, এটা নিয়ে জনশ্রুতি আছে—যা ডালপালা ছড়াচ্ছে।