স্টাফ রিপোর্টার::
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সুনামগঞ্জের দুরবস্থা অতীতের যেকোন সময়কে হার মানিয়েছে। আরো হতবাক হতে হচ্ছে যে, স্থানীয় মানুষ জানালেন, এই দুরবস্থায় তাদের দেখার কেউ নেই। তিনি মানুষ বাঁচাতে সুনামগঞ্জকে অবিলম্বে দূর্গত এলাকা ঘোষণা করার দাবী করেন। সেই সাথে জলাবদ্ধতা দূর করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, বন্যার আগাম সতর্কতা না দেওয়ায় এবং এই সময় বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সব ঘটনার মধ্য দিয়ে উন্নয়নের ফাঁপা বুলি প্রকাশিত হলো।
তিনি বলেন, হাওর অঞ্চল, পরিবেশ -প্রতিবেশ বিবেচনা না করে উন্নয়ন উন্মাদনার নামে সড়ক নির্মাণ, হাওরের বুকের উপর দিয়ে মহা স্থাপনা নির্মাণ, নদী, নালা ধ্বংস আর অপরিকল্পিত উন্নয়নই এই বন্যার ভয়াবহতা।
এ ধরণের ভুল নীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারলে মানুষের জীবনে আরও সংকট আসতে পারে।।
তিনি বানভাসী মানুষকে সহায়তা, পুনর্বাসন, নগদ অর্থ সহায়তা,সব ধরণের ঋণের কিস্তি স্থগিত ও সুদ মওকুফের দাবি জানান। তিনি বলেন, কৃষকের সকল ধান তলিয়ে গেছে। যার ফলে হাওর অঞ্চলের সকল কৃষক মানবেতর জীবন যাপন করছে। কৃষকদেরকে বিশেষ সহায়তা ও তাদের সকল ঋণ মওকুফের দাবি জানান।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতো বড় বন্যায় দুর্যোগের মধ্যে সরকার আলো ঝলমলে কর্মসূচী বহাল রাখছে। পদ্মা সেতু চালু করতে উদ্বোধন জরুরী। তবে এই সময়ে আলো ঝলমলে উৎসব বানভাসী মানুষকে উপেক্ষা করা ছাড়া কিছু না।
তিনি বলেন, বড় বড় বুলি আওড়ানো হলো। অথচ মাথাপিছু বরাদ্দ দেওয়া হলো সাড়ে ছয় টাকা। এ ধরণের প্রহসন বন্ধ করে বাড়ি বাড়ি যেয়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তার দাবী জানান।
তিনি আজ ২৩শে জুন সকাল দশটায় সুনামগঞ্জের কালিপুর,গনিপুর ও হাছন বশত গ্রামে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন ও এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন।
এরপর বেলা ১টায় কমিউনিস্ট পার্টি সুনামগঞ্জ জেলা আয়োজিত শহিদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যে রাখেন। জেলা সভাপতি এনাম আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জালাল সুমনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক ছাত্র নেতা মানবেন্দ্র দেব, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, কেন্দ্রীয় সদস্য নিরঞ্জন দাস খোকন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল তুহিন, এডভোকেট সন্দীপ দাশ প্রমুখ।