বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তরবড়দল ইউনিয়নের চানপুর সীমান্তে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৬ষ্ট শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে তিন যুবক। পরিবারের কেউ ঘরে না থাকার সুযোগে তিন যুবক ঘরে ডুকে তাকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় এবং শ্লীলতাহানী করে। এসময় তার আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে দুজনকে আটক করে ইউপি সদস্যের বাড়িতে গাছের সঙ্গে বেধে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তবে একজন পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আদিবাসী সমাজে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে ওই বখাটেদের স্বজনরা এখন আদিবাসীদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে এবং দুর্বল মামলায় যুক্ত করতে তদবির শুরু করেছে প্রভাবশালী মহল।
উত্তরড়দল ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য কফিল উদ্দিন বলেন, ওই কিশোরী শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে ধারালো ছুরি, নেশার টেবলেট খেয়ে চানপুর গ্রামের দুই সন্তানের জনক আবু বকরের পুত্র আলমগীর (৩০), মর্তুজ আলীর পুত্র মরম আলীসহ তিনজন কিশোরীর ঘরে ডুকে তাকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এসময় গারো সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী আর্তচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। তখন পালানো কালে আলমগীর ও মরম আলীকে আটক করেন ক্ষুব্দ জনতা। তারা তাদের দুজনকে উত্তম মধ্যম দিযে ইউপি সদস্য মরম আলীর বাড়িতে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে। ক্ষুব্দ জনতা তাদে কাছ থেকে ধারালো ছোরা, নেশার টেবলেটও উদ্ধার করে। তবে তাদের আরেকজন সহযোগী পালিয়ে যায়। বিকেলে তাহিরপুর থানার এসআই শাহাদাৎ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ সরদার বলেন, খবর পাবার পরই আমি পুলিশ পাঠিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি খবর পেয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েচি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।