জামালগঞ্জ প্রতিনিধি::
ডাকাতি করে ফেরার পথে জামালগঞ্জের হাওরে মাছধরার সময় জেলেদের হাতে ৫ আন্তজেলা ডাকাত আটক হয়েছে। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশ পুলিশ ডাকাতদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। ডাকাতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতি করা মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে পার্শবর্তী ধরমপাশা উপজেলার এক গ্রামে ডাকাতি করে জামালগঞ্জের দিকে ফিরছিল ডাকাতদল। পথে জামালগঞ্জের হালির হাওরে মৎস্য ব্যবসায়ীর গলায় ধারালো অস্ত্র ছুরি ধরে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে পালানোর সময় অন্যান্য জেলেরা তাদের ধাওয়া করে। ডাকাতদের দুটি নৌকা একাধিক জেলে নৌকার ধাওয়া খেয়ে জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সদরকান্দির গ্রামের এক বাড়িতে এসে এসে আশ্রয় নিতে চাইলে চাইলে গ্রামবাসী তাদেরকে আটক করে। অপর নৌকাটি জেলেদের দাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। শনিবার ভোরে গ্রাম বাসী ডাকাতদের আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে এলাকাবাসী জামালগঞ্জ থানা পুলিশকে ডাকাত আটকের কথা জানালে পুলিশ সকালে সদরকান্দি গ্রামে গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র, ইঞ্জিন চালিত নৌকা, ইঞ্জিন, ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করে।
আটককৃত ডাকাতরা হলো, সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার পাইকুরহাটি ইউনিয়নের তানুড়া গ্রামের মিলন মিয়া (২২), কিশোরগঞ্জ জেলার মিটামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের (স্থানীয় ভাবে কুলাকাইন্না পরিচিত) মোখলেছ মিয়া (২৫), একই এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন (২৬) জামালগঞ্জের উত্তর কামলাবাজ গ্রামের মোতালিব মিয়ার ২ ছেলে লোকমান মিয়া (২৫) ও ইউনুছ মিয়া (৩০)। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ডাকাতরা আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য।
এদিকে ডাকাতদের আটকের পর জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ইনছানপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে জামালগঞ্জ থানায় ৫ ডাকাতকে আসামী করে অজ্ঞাতানাম আরো ২-৩জনের জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জামালগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আবুল হাশেম বলেন, ডাকাতি করে ফেরার পথে স্থানীয় জেলেরা ডাকাতদের দাওয়া করে আটক করেন। পরে আমাদের খবর দিলে তাদেরকে ধরে থানায় নিয়ে আসি। তাদের কাছ থেকে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান তিনি।