1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

রাজপথ দখলের সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১১.৫৮ এএম
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
নির্বাচন সামনে রেখে কাউকে রাজপথ উত্তপ্তের সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা না দেওয়ার ঘোষণা থাকলেও বিএনপিসহ বিরোধীদের মাঠ দখলের সুযোগ দিতে চায় না ক্ষমতাসীনরা। ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র’ এবং তা মোকাবিলায় মাঠে থাকার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে দলটি। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ্যে নির্দেশনা না থাকলে সম্প্রতি বেশ কিছু স্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও মন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে হুঙ্কার দিয়েছেন। সেপ্টেম্বর থেকে আরও জোরালোভাবে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে পালানোর পথ পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন দলটির নেতারা। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বিএনপিসহ বিরোধীরা চাইলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে পারবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে প্রতিহত করা হবে। যেখানে বিএনপি-জামায়াত সেখানেই প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি বা অন্য যে কেউ চাইলে আন্দোলন করতেই পারে। আমরা তো তাদের মাঠে নামতে বারণ করছি না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ বা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। এগুলো করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।

একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে জনজীবনে অশান্তি সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। দেশ, দেশের মানুষ ও উন্নয়নের স্বার্থে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগুলো প্রতিহত করা আমাদেরও নাগরিক দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ সেই দায়িত্ব পালন করবে। কেউ পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে শান্তি বিঘ্নিত কিংবা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে তাদের সে সুযোগ দেওয়া হবে না।

বর্তমান সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি। চলমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠেও নেমেছে দলটি। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতির মাঠে এই উত্তাপ আরও বাড়বে। ফলে চলমান পরিস্থিতিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না দলটি। এক দিকে সব দলকে নির্বাচনে আনতে মাঠে সহনীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে একাধিকবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য দিকে নির্বাচনের সামনে বিএনপির আন্দোলন ও সরকার পতনের হুমকিও সহজভাবে নিতে পারছেন না ক্ষমতাসীনরা। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘কঠিন সময়’ মোকাবিলায় আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছেন তারা।

আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, সর্বশেষ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে দল থেকে বাধা দেওয়া হবে না। নেত্রীও চান সব দল নির্বাচনে আসুক। রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করুক। কিন্তু বিএনপির নেতারা আন্দোলনের নামে প্রধানমন্ত্রীর নামে অশ্লীল ভাষায় কথা বলছেন। তারা সরকার পতনের আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান। ফলে আর তাদের একেবারে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় রাজনীতি। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় দলীয় মনোনয়ন ও আধিপত্য ধরে রাখতে স্থানীয় নেতারাই বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, এখন মাঠে নামলেও বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ নভেম্বর ডিসেম্বর থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীরা সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে চাইবে। তারা এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই আমরাও তাদের কর্মসূচিতে কঠোর নজরদারি রাখছি। নেত্রীও আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। কোথাও আন্দোলনের নামে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র হলে রাজপথে জবাব দেওয়া হবে। সারা দেশে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এদিকে জাতীয় শোকের মাসে আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে। ফলে ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলন ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তাদের তৃণমূল পর্যন্ত দল গোছানোর কাজ এই মাস বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই কাজেও গতি বাড়াবে দলটি। শুরু করবে তৃণমূল সম্মেলন। ঢেলে সাজানো হবে মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনগুলোকেও। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি আয়োজন করবে। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাঠ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ। মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে রাজনৈতিক মাঠে কুপোকাত করতেই তাদের এই কৌশল।

এদিকে নির্বাচনের আগে শরিকদের পাশে রাখতে চাইছে আওয়ামী লীগ। বিরোধীদের পালটা কর্মসূচিতে তাদেরও মাঠে নামাবে ক্ষমতাসীনরা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অপরাজনীতির বাহকদের সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ দল রাজপথে থাকবে বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!