সারা দেশে বহু লোকজন কনজাংটিভাইটিসে (চোখ ওঠার) আক্রান্ত হচ্ছে। ছোট বড় সকলেই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হয়।
☞চোখ ওঠার লক্ষণ ও উপসর্গ-
১. চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যাওয়া;
২. চোখের পাতা ফুলে যাওয়া;
৩. চোখ দিয়ে পানি পড়া;
৪. চোখে জ্বালাপোড়া করা, খচখচ করা;
৫. ঘুম হতে ওঠার পর চোখের দুই পাতা একসঙ্গে লেগে থাকা;
☞যেভাবে চোখ উঠার জীবাণু ছড়ায়-
১. সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এটি হয়। অপরিষ্কার হাত, আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে, আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, গামছা ব্যবহারে চোখ উঠতে পারে।
২. অ্যালার্জি ধুলাবালির মাধ্যমে;
☞চিকিৎসা-
১. হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং চোখের পাতাগুলো খোলা রাখতে হবে।
২. চোখে কালো চশমা পড়তে পারেন।
৩. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খান।
☞কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন-
১. যখন আপনার চোখ থেকে ঘন হলুদ কিংবা সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা পদার্থ বের হয়;
২. চোখ ব্যথা থাকলে;
৩. চোখে ঝাপসা দেখতে পেলে অথবা দেখতে সমস্যা হলে;
৪. চোখের সাদা অংশ ফুলে উঠলে কিংবা লাল হয়ে গেলে।
☞যা করবেন না-
১. চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া চোখের ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
২.কালারিং চশমা ছাড়া বাইরে বের হবেন না।
☞প্রতিকার-
১. চোখ ওঠা খুবই ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করুন;
২. চোখে হাত দিবেন না;
৩. ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ভালোমত পরিষ্কার করুন;
৪. যেসব জিনিসে অ্যালার্জিক তা থেকে দূরে থাকুন;
৫. সাথে জ্বর সর্দি কাশি থাকলে তার চিকিৎসা নিন।
৬. আক্রান্ত হলে ঘরে বিশ্রাম নিন।
☞কনজাংটিভাইটিস কিন্তু অতিমাত্রায় ছোয়াছে।
রোগাক্রান্ত অবস্থায় বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। হাত সবসময় পরিষ্কার রাখুন। আপনার ব্যবহৃত রুমাল/ টিস্যু যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত রাখুন।
লেখকঃ ডা. সৈকত দাস, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য),ডিসিএইচ(শিশুরোগ-কোর্স), মেডিকেল অফিসার
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল,সুনামগঞ্জ।