স্টাফ রিপোর্টার::
১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দুপুরে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন জাহাঙ্গীর কবীর নানক। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ওবায়দুল কাদের এমপি। সম্মেলনকে ঘিরে বিশাল মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের অন্তত শতাধিক তোড়ণ নির্মাণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে। তাছাড়া নেতৃত্বপ্রত্যাশীরা বিশাল ব্যানার ও বিলবোর্ড সাটিয়েছেন সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে সম্মেলনে জেলার ১২ উপজেলা থেকে অন্তত লক্ষাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন। তবে সম্মেলনে কে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হবেন নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেনা। এই পদের দাবিদাররাও ষ্পষ্ট কিছু বলছেননা। তারা জানিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিবেন তাই তারা মেনে নিবেন।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন সম্মেলনের মঞ্চ তৈরি ও অঙ্গ সজ্জা করতে ঢাকার চারুকলা থেকে শিল্পীদের নিয়ে এসে কাজ শুরু করেছেন। তারা নৌকার আদলে বানিয়েছে মঞ্চ। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের প্রিন্ট করা ছবি ককশিটের উপর বসিয়ে নান্দনিক রূপ দিয়েছেন শিল্পীরা। আলাদা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চও বানানো হয়েছে। জেলা শহরের অলিগলি, রাস্তাঘাট পোস্টার, বিলবোর্ড ও তোড়ণে ভরে গেছে।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে দফায় দফায় তারিখ পরিবর্তন করায় প্রথমে সম্মেলন নিয়ে ধোয়াশা ছিল। তাই সর্বশেষ তারিখ ঘোষণার পর উৎসাহও কম ছিল। কিন্তু শেষদিকে আর তারিখ পরিবর্তন না হওয়ায় নেতাকর্মীরা সম্মেলন নিয়ে উ”চ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেছেন। তৃণমূলের নেতাদের নেতৃত্বের প্রত্যাশা না থাকলেও তারাও ব্যানার-বিলবোর্ড এর মাধ্যমে সম্মেলন সফল করার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের হয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে তোড়ণও করেছেন।
জানা গেছে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ শহরের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত অন্তত শতাধিক তোড়ণ নির্মাণ করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন অন্তত ৪০টি তোড়ণ নির্মাণ করেছেন সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কে শান্তিগঞ্জ উপজেলায়। সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমানের মানিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী রনজিত সরকার, জেলা যুবলীগ সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ চৌধুরীসহ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থকরা সম্মেলন উপলক্ষে পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগিয়েছেন। তারা বিশাল জমায়েতের জন্যও প্রতিটি গ্রামে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে স্থানীয় এমপিরাও গ্রামে গ্রামে প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্মেলন সফল করতে। নিজ নিজ নামে জমায়েত দেখাতে শেষ সময়ে সবাই কাজ করছেন। শুক্রবার সকালে দেখা গেছে জুবিলী স্কুলমাঠে বিশাল মঞ্চের কাজ চলছে। মঞ্চা সজ্জায় নিয়োজিত নেতারা কাজ তদারকি করছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন বলেন, আমার উপজেলায় আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে এবং সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে অন্তত অর্ধশত তোড়ণ করেছি। নেতাকর্মীরা ব্যানার বিলবোর্ডও সাটিয়েছেন। এখন প্রতিটি গ্রামে গ্রামে আমরা নেতাকর্মীদের সম্মেলনে নিয়ে যেতে কাজ করছি। আশা করি শান্তিগঞ্জ উপজেলা থেকেই অন্তত ৩০-৪০ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দিবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বলেন, শেষ মুহুর্তে সবাই সম্মেলন নিয়ে উচ্ছ্বসিত। গ্রামে গ্রামে উৎসব চলছে। অন্তত লক্ষাধিক নেতাকর্মী সম্মেলনে আসবেন সজ্জিত হয়ে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে পথে পথে তোড়ণসহ আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শের বাণী সম্বলিত বিলবোর্ড ও ব্যানার সাটানো হয়েছি। সম্মেলন উৎসবমুখর হবে।