অনলাইন ডেক্স::
জামদানীর পর এবার ইলিশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) স্বত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন শুধু সনদ হস্তান্তরের অপেক্ষা। চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য অধিদফতরের হাতে ইলিশের জিআই নিবন্ধনের সনদ তুলে দেওয়ার আশা করছেন পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর বলছে, জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ। এখন সনদ হাতে পাওয়ার অপেক্ষা।
তবে স্বত্ব পাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও অবহিত নয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল জলিল বাংলা বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনও অবহিত নই। বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়কে কেউ জানায়নি।’
তবে এ মেধাস্বত্ব পাওয়ার বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে যে প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে তা উল্লেখ করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইপিও’র শর্ত মেনেই বাংলাদেশে ইলিশের জন্ম ও বিস্তারসহ যাবতীয় তথ্যপ্রমাণাদি পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে চলতি বছরের ১ জুন নিজস্ব জার্নালে ৪৯ পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতর। আশঙ্কা ছিল, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার ইলিশের জিআই নিবন্ধনের ব্যাপারে আপত্তি জানাতে পারে। কিন্তু নিবন্ধন প্রকাশের দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এ দুই দেশ আপত্তি তোলেনি বলে জানা গেছে।
এর আগে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশের একক মালিকানা পাওয়ার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জিআই নিবন্ধনের আবেদন করে মৎস্য অধিদফতর।
পেটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস অধিদফতরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘জার্নাল প্রকাশের দুই মাস অপেক্ষা করাটা বাধ্যতামূলক। সেই দুই মাস ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে। আমরা কোনও আপত্তি পাইনি। সুতরাং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের ইলিশের নিবন্ধন দিতে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর ইলিশ বিপণনের ক্ষেত্রে স্বত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। এর ফলে বর্তমানের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দাম পাবেন জেলেরা।