স্টাফ রিপোর্টার
ভাটি বাংলায় গণহত্যা গ্রন্থ ‘হৃদয়ে জাগে একাত্তর’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়।
গ্রন্থটি রচনা করেন মানসী সাহা।
শহীদ স্বজন ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ ধুর্জটি কুমার বসু।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নাদের বখত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক তাজুল মোহাম্মদ, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক অমর চান্দ দাস, লেখক ও কবি সুখেন্দু সেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ইউনিট কমান্ডার নুরুল মোমেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক, প্রথম আলো স্টাফ রিপোর্টার ও লেখক অ্যাড. খলিল রহমান, কবি ইকবাল কাগজী, লেখক ও গবেষক সজল কান্তি সরকার, শাল্লা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের এক পরিবারের ৭ জনকে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক হত্যা। এই পরিবারের সদস্য দুলাল মিয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক অ্যাড. কল্লোল তালুকদার চপল, জেলা সিপিবি সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনোদ রঞ্জন তালুকদার, সুজনের নির্বাহী পরিচালক নির্মল ভট্টাচার্য্য, অ্যাড. পংকজ কুমার দাস, প্রভাষক ও কবি এনামুল হক, বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, পরিবেশ কর্মী সাইফুল ইসলাম, অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা বিজয় সিংহ তালুকদার, যোগেন্দ্র কুমার দাস, সুবোধ ভট্টাচার্য্য, দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র সিনিয়র রিপোর্টার, গল্পকার ও লেখক আকরাম উদ্দিন, আরটিভি প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, প্রাক্তন শিক্ষক সামছুল আহমদ, শিক্ষক অনুপ নারায়ণ তালুকদার, জেলা খেলাঘরের অর্থ সম্পাদক প্রদীপ কুমার পাল, শাল্লা উপজেলার দাউদপুর গ্রামের নির্যাতিত পরিবারের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মোহন দাস ও খাসিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নিখিল দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন কালের কণ্ঠ জেলা প্রতিনিধি, কবি ও লেখক শামস শামীম।
আলোচনা সভা শেষে ‘হৃদয়ে জাগে একাত্তর’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, ‘হৃদয়ে জাগে একাত্তর’ গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে, এই গ্রন্থটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রন্থের মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে কারা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতা করেছিল। কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ শহরে পাক হানাদার বাহিনীরা প্রবেশ করে প্রথমে আমাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। কারা আমাদের বাড়ি চিনিয়ে দিল তা ভাবতেও অবাক লাগে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে আগামী প্রজন্মকে শক্তিশালী একটি গণতান্ত্রিক দেশ উপহার দিতে চাই।
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক তাজুল মোহাম্মদ বলেন, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে হাজার হাজার বৈধ্যভূমি রয়েছে। এসবের উন্নয়ন জরুরি প্রয়োজন। তিনি পৌর মেয়র নাদের বখতকে পৌর এলাকায় বৈধ্যভূমিন উন্নয়নের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, মানসী সাহা শহিদ স্বজনদের নির্মমতার কাহিনী শুনে এই গ্রন্থ রচনা করেছেন। অন্যরাও এই পথে এগিয়ে আসলে মুক্তিযুদ্ধের চাপাপড়া ইতিহাস বেরিয়ে আসবে।