হাওর ডেস্ক::
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জন মারা গেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে টর্নেডোটি আঘাত হানে। বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো মানুষ আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, টর্নেডোর কারণে বেশ কয়েকটি গ্রামীণ শহরে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। সেখানে গাছ এবং বিদ্যুতের লাইন ভেঙে গেছে। কয়েক হাজার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মিসিসিপিতে ভারি বৃষ্টিপাত এবং গলফ বলের আকারের শিলাবৃষ্টির খবরও পাওয়া গেছে।
এলাকাটিতে এক বা একাধিক টর্নেডো আঘাত হেনেছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও গতকাল দেশটির জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে বেশ কয়েকটি টর্নেডোর পূর্বাভাস দেওয়া দিয়েছিল।
মিসিসিপির শারকি কাউন্টির রোলিং ফর্ক শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, একটি টর্নেডো তাদের বাড়ির পেছনের জানালাগুলো উড়িয়ে দিয়েছে।
আরো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছিল। তবে শারকির আইন প্রয়োগকারী ইউনিট তাদের কোনো হিসাব দিতে পারেনি।
ব্র্যান্ডি শোয়াহ নামে এক বাসিন্সিদা এনএনকে বলেছেন, ‘আমি কখনো এরকম কিছু দেখিনি। এটি একটি খুবই ছোট শহর ছিল। এখন এর কিছুই নেই।’
কর্নেল নাইট অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, টর্নেডো তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আঘাত হেনেছে। সেখানে একটি দেওয়াল ধসে পড়লে ভেতরে বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে।
ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেটিওরোলজির স্যাম এমারসন বলেছেন, ‘অত্যন্ত উচ্চ-ক্যালিবারের’ টর্নেডোটি ৩০ হাজার ফুট ওপরে ধ্বংসাবশেষ তুলছে।
মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস টুইটারে জানিয়েছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে। তিনি লিখেছেন, ‘মিসিসিপির ডেল্টার অনেকেরই আজ রাতে আপনার প্রার্থনা এবং সৃষ্টিকর্তার সুরক্ষা প্রয়োজন। আবহাওয়ার রিপোর্ট দেখুন এবং রাতের বেলা সতর্ক থাকুন, মিসিসিপি!’
এদিকে দেশটির আরো কয়েকটি দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য শক্তিশালী ঝড়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র : বিবিসি