হাওর ডেস্ক::
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, চালকের মাথায় হেলমেট না থাকলে কোনো পাম্প থেকে মোটরসাইকেলের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না।
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এ লক্ষ্যে স্লোগান ঠিক করা হয়েছে, ‘হেলমেট দেখে জ্বালানি দিব, জীবন বাঁচাতে সহায়ক হব। হেলমেট পরুন, জীবন বাঁচান।’ এসব স্লোগান নিয়ে সবকটি পাম্পে ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হবে এবং সারা জেলায় মাইকিং করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর উদ্যোগে আয়োজিত সড়কে শৃঙ্খলা আনার জন্য যানবাহনের জ্বালানি সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, কাগজপত্রবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালককে ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সিএনজি পাম্পগুলোতে নির্ধারিত চাপের নিচে গ্যাস দেওয়া হলে প্রয়োজনে জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১০টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী তিন মাস পর এসব বাস্তবায়ন বিষয়ে পুনরায় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।
এ সময় একাধিক পাম্পের বিরুদ্ধে ভেজাল জ্বালানি সরবরাহ ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এসব বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে সভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ডেইজি রায় টুম্পা, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী, বিএসটিআইএর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. অহিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া, সিএনজি পাম্প মালিক শাহেদুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, সাংবাদিক আ ফ ম কাউছার এমরান, উজ্জল চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ঈদের আগে আরো সভা করে শৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তবে এ জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।