স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর পয়েন্টে অটোরিক্সা চালকের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক নীরিহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। বৃহষ্পতিবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে আটক করেছে। নিহত ফারুক মিয়া (২৮) মাইজবাড়ি গ্রামের ওয়ারিশ আলীর ছেলে। তিনি নবীনগর পয়েন্টে দোকানদারী করতেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহষ্পতিবার দুপুরে অটোরিক্সা চালক মাইজবাড়ি গ্রামের অটোরিক্সা চালক রোমান মিয়া ও বনানীপাড়া এলাকার নাজমুল আলমের সঙ্গে নবীনগর পয়েন্টে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। বেলা একটার দিকে নাজমুল এলাকায় এসে কয়েকজনকে সঙ্গে করে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নবীনগর পয়েন্টে এসে রোমানের উপর হামলা চালায়। তাকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। এসময় পয়েন্টের দোকানদার রোমানকে বাচাতে আসলে তার বুকে পিটে ছুরিকাঘাত করে নাজমুলের লোকজন। স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে নাজমুল ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন ও রোমানকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেফার্ড করেন। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধসপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, শান্তিগঞ্জ উপজেলার উলারভিটা গ্রামের রুমন মিয়া, ষোলঘর এলাকার হৃদয়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেরার চিনাকান্দি লক্ষীরপাড় গ্রামের এনামুল ইসলাম ও মাইজবাড়ি গ্রামের তারেক মিয়াকে আটক করেছে। তাদেরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) রিপন কুমার মোদক বলেন, দুই অটো রিক্সা চালকের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া। ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।