বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কারা আসছেন বর্তমানে জেলার রাজনৈতিক আঙ্গনে এ বিষয়ে সরব আলোচনা চলছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিনের মধ্যে এ নিয়ে কোন মতদ্বৈততা না থাকায় স্বতস্ফুর্ত হয়েই দুই নেতা কেন্দ্র ঘোষিত নির্ধারিত তারিখ গত ২৭ মার্চ ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি জমা দিয়েছেন। কমিটিতে স্থান পেয়েছেন এমন নেতারা চুপ থাকলেও বঞ্চিতরা কমিটি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন। তাছাড়া নানা সূত্রে কমিটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নামও প্রকাশ হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নির্ভরযোগ্য নেতার ঘনিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর তাদেরকে ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনা মেনে সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন কেন্দ্রে ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি জমা দিয়েছেন।
কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে আছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক শীষ্য এডভোকেট দিলীপ দাস। পরে রেজাউল করিম শামীম, নাদের বখত, সৈয়দ আবুল কাশেম, এডভোকেট মতিউর রহমান পীর, এডভোকেট চান মিয়া, এডভোকেট নজরুল ইসলাম শেফু, করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, আজহারুল ইসলাম শিপার, আবুল কালাম চৌধুরী ও এডভোকেট আব্দুল করিম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন খায়রুল হুদা চপল, শামীম আহমদ চৌধুরী ও ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন শঙ্কর দাস, আসাদুজ্জামান সেন্টু ও জীতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু। দফতর সম্পাদক হিসেবে আছেন এডভোকেট বিমান কান্তি দাস। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে আছেন এডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপল। আইন সম্পাদক হিসেবে আছেন এডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আছেন তাহিরপুরের বিশিষ্ট কয়লা ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান।
এছাড়াও সম্পাদকীয় বিভিন্ন পদে আছেন শীতেষ তালুকদার মঞ্জু, গোলাম সাবেরিন সাবু, শওকতুল ইসলাম সৈকত, নাহিদ, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আছেন আব্দুজ জহুর এমপির মেয়েসহ অনেকে। তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে সজীব রঞ্জন দাস রয়েছেন।
সদস্য হিসেবে আছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, জয়াসেন গুপ্তা এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, শামীমা শাহরিয়ার এমপি, আজিজুস সামাদ ডন, হায়দার চৌধুরী লিটন, ড. খায়রুল কবীর রোমেন, জুনেদ আহমদ, আল আমিন চৌধুরী, রফিকুল হাসান চৌধুরী, এডভোকেট শুকুর আলী, সোয়েব চৌধুরী, সেলিম আহমেদ, আজাদ হোসেন, ফরহাদ আহমেদ, নিজাম উদ্দিন, অমল কর, সজল কান্তি দাস, সবুজ কান্তি দাস প্রমুখ।
জানা গেছে কেন্দ্রে জমা দেওয়া এই কমিটিতে পুরাতন কমিটিরই ২০ জন রয়েছেন। যারা সম্পাদকীয় পদসহ সদস্য হিসেবে আছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, ত্যাগী, রাজপথের সাবেক সক্রিয় ছাত্রনেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। যারা আওয়ামী লীগ করার কারণে নির্যাতিত হয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে জেল খেটেছেন তাদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করে নাম দিয়েছি আমরা। এরপরও কিছু ত্যাগী মানুষ বাদ পড়ে গেছেন। প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রীয় নেতাদের যাছাই-বাছাই শেষে আরো কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে কেন্দ্র নির্দেশিত ৪৫ দিনের মধ্যেই সবাই মিলে একটি গ্রহণযোগ্য প্রস্তাবিত কমিটি জমা দিয়েছি।