অনলাইন ডেক্স::
৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য এবার রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। ২ হাজার ২৪টি শূন্য পদের বিপরীতে এবার আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার জন পরীক্ষার্থী। এ হিসেবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৯১ জন প্রতিযোগী। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ইতিহাসে কোনও পরীক্ষায় এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী আগে অংশ নেননি। এবারের পরীক্ষার জন্য গত ১০ জুলাই থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল। মাসব্যাপী থাকা এ সুযোগ শেষ হয়েছে আজ ১০ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায়।
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় আবেদনের শেষ সময় পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৯ হাজার আবেদন জমা পড়লেও ৩ লাখ ৭ হাজার প্রার্থী টাকা জমাসহ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তবে বাকি আরও ৮৬ হাজার টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। টাকা জমা দেওয়ার জন্য আবেদনকারীদের হাতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় রয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ার রেকর্ডটি ছিল ৩৭ তম বিসিএসে। ৩৭ তমে এর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার। কিন্তু এবার সে সংখ্যা ছাড়িয়ে গেলো।
পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, পিএসসির প্রতি সবার আস্থা বেড়েছে। কোনও দুর্নীতি ছাড়াই স্বচ্ছভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। তাই চাকরি প্রত্যাশীরা স্বতঃফূর্তভাবে আবেদন করতে উৎসাহ পাচ্ছেন। এ কারণে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি বলেন, ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অক্টোবরের শেষ দিকে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন দুই হাজার ২৪টি শূন্যপদে নিয়োগের সুপারিশ করতে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে (পিএসসি)। এবারই প্রথম লিখিত পরীক্ষায় দুজন পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করা হবে। ২০ শতাংশের বেশি পার্থক্য দেখা দিলে তা আবারও মূল্যায়ন করা হবে।
৩৮তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০টি, পুলিশ ক্যাডারে ১০০টি এবং পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১৭টি, সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে (সরকারি সাধারণ কলেজ ও সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ) মোট ৯৫৫টি পদ রয়েছে।
চলতি বিসিএস পরীক্ষা থেকে অনলাইন আবেদনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংযোজন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া লিখিতের সিলেবাসে বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৫০ নম্বরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর প্রশ্ন করা হবে বাংলা ও ইংরেজিতে।