হাওর ডেস্ক::
ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, তিনি ওই ঘটনার মূল সমন্বয়ক ও পালিয়ে যাওয়া এক জঙ্গির স্ত্রী।
পুলিশের হেফাজত থেকে পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী শিখা নামে ওই নারীর সঙ্গে তার ‘আশ্রয়দাতা’ হোসনে আরাকেও গ্রেপ্তার করার কথা জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শুক্রবার রাতে তিনি জানান, তাদের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিখার সঙ্গে গ্রেপ্তার অপর নারী হোসনে আর আরেক শীর্ষস্থানীয় জঙ্গির স্ত্রী।
পলাতক জঙ্গী গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে সিটিটিসি জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারদের বিষয়ে বিস্তারিত শনিবার জানানো হবে।
শুক্রবার রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের বার্তায় দাবি করা হয়, গত ২০ নভেম্বর আদালত চত্বর থেকে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক শিখা।
তবে বার্তায় কখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানানো হয়নি।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আনসার আল ইসলাম সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
এসময় আসামি আরাফাত ও সবুর নামে আরও দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করলেও পরে তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ঢাকার কোতোয়ালি থানায় টিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এরপর ছিনতাই ঘটনার তিন দিন পর ‘আনসার আল ইসলামের সদস্য’ মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ দাবি করেছিল তিনি এ ঘটনার প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন।