হাওর ডেস্ক::
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ ৫ দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। বতর্মানে তাদের বেতন গ্রেড যথাক্রমে ১৩তম ও ১১তম। দাবিগুলোর বিষয়ে বক্তারা বিভিন্ন যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। দাবি পূরণ না হলে বিভিন্ন কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োতি সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব বিষয় জানান। এ সময় বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী প্রামাণিকসহ অন্যান্য শিক্ষকনেতারা।
আনোয়ারুল ইসলাম তোতা বলেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবনা চলছে। যেখানে প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে চাকরি করছেন। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদা নষ্ট হবে।
গাজীউল হক চৌধুরী বলেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা কোনো একাডেমিক পদধারী কর্মচারী না। এ কারণে তারা কোনোভাবেই একাডেমিক ট্রেইনার বা একাডেমিক সুপাই ভাজারের কোনো পদে চলতি দায়িত্ব বা পদোন্নতি পাওয়ার অধিকারী না। সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা একাডেমিক পদোধারী।
সংগঠনের ৫ দাবিগুলো হলো, সরকারী শিক্ষকদের ১০ম ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ ও টাইমস্কেল জটিলতা নিরসন করতে হবে। ইউআরসির ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে চলতি দায়িত্বের প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি ননভ্যাকেশনাল হিসেবে গণ্য করতে হবে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদ থেকে পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখা। এ ছাড়া ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্যভাতাসহ ৯ম পে স্কেল ঘোষণা করতে হবে