হাওর ডেস্ক::
মাস পাঁচেক আগে ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী।
রিমান্ডে যাওয়া দুই নারী হলেন- পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা তাসনীম ওরফে শিখা (৩১) ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার ওরফে হুসনা (২২), যিনিও এক জঙ্গির স্ত্রী বলে সিটিটিসির ভাষ্য।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, এ দিন আসামিদের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন সিটিটিসি পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। পরে বিচারক পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আনসার আল ইসলাম সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
শুক্রবাই গ্রেপ্তার দু্ই নারীকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যেরভিত্তিতে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, জঙ্গি ছিনতাইয়ের দিন শিখা তার বাবার সঙ্গে আদালতে এসেছিলেন। তিনি বন্দি জঙ্গি এবং বাইরে থাকা সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করছিলেন। এক পর্যায়ে কৌশলে বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি।
জঙ্গি কার্যক্রমে শিখার সম্পৃক্ততার বর্ণনা দিতে গিয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির এই কর্মকর্তা বলেন, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) থেকে বিএসসি ডিগ্রি নেওয়া শিখা তারই ভাই মোজ্জাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমনের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হন। পরে সাইমন তার বোনকে সোহেলের সঙ্গে বিয়ে দেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, “সোহেল আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য থাকাকালে বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে আরও গভীরভাবে সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়েন শিখা। ২০১৭ সালে মুক্তমনা ব্লগার অভিজিত রায়, দীপন ও নীলাদ্রী নিলয় হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সোহেল গ্রেপ্তার হলে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে স্বামীর সাথে যোগাযোগ রাখত।”
স্বামীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিখা আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।