শাল্লা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের শাল্লায় ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজে উপজেলার ভান্ডাবিল হাওর উপ প্রকল্পের আওতায় ১৯নং পিআইসির সদস্য সচিব পাবেল আহমদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই প্রকল্পের সদস্য দেবল তালুকদার। স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন দেবল তালুকদার (৩২)। অভিযোগকারী হবিবপুর ইউপির নারকিলা গ্রামের মৃত সুদীন তালুকদারের ছেলে। তিনি ওই প্রকল্পে সরকারিভাবে সদস্য হিসেবে থাকলেও পিআইসি গঠন ও বাধের কাজ বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছু জানেননা বলে জানান।
দরিদ্র ও কৃষিশ্রমিক দেবল তালুকদার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন গত ১৫ ডিসেম্বর পাবেল আহমেদ দেবল তালুকদারকে সরকারি সুবিধা দেয়ার কথা বলে ভোটার আইডিকার্ড, ছবি ও বাড়ির পর্চা নিয়ে যায়। পরে দেবল তালুকদারের স্বাক্ষর জাল করে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ১৯নং পিআইসির সদস্য হিসেবে তাকে রাখেন পাবেল আহমেদ। তবে সদস্য হওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।
গত ২এপ্রিল নারকিলা গ্রামের রাহুল মজুমদার বিষয়টি দেবল তালুকদারকে জানালে তিনি জানতে পারেন তাকে পিআইসির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে ভান্ডাবিল হাওর উপ প্রকল্পের ১৯নং পিআইসির সভাপতি গোপেশ চন্দ্র দাশ বলেন, পাবেল আহমেদ আমার সামনেই দেবল তালুকদারের স্বাক্ষর জাল করেছে। আমি বাঁধা দিতে গেলে সে আমাকে ধমক দেয়!
অন্যদিকে স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনাটি নিয়ে গত ৭এপ্রিল বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে পাবেল আহমেদ ৪ জনের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আদালতে। এ মামলায় ওই প্রকল্পের সভাপতিকে প্রধান স্বাক্ষী রাখলেও তিনি তিনি জানান মামলার অভিযোগটি মিথ্যা।