হাওর ডেস্ক::
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ব্রুনেইয়ে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে, দেশগুলোতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী শনিবার (২২ এপ্রিল)।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মালয়েশিয়ায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এর ফলে পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিনে শেষ হবে। আর মালয়েশিয়ার মুসলিমরা আগামী শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির ‘দ্য কিপার অব দ্য রুলারস সিল’ সৈয়দ দানিয়াল সৈয়দ আহমদ।
সিএনএন ইন্দোনেশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় ১৪৪৪ হিজরির শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি বলে ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। এ কারণে ইন্দোনেশিয়ায় শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী শনিবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন ঘোষণা করেছে ব্রুনেই। বৃহস্পতিবার দেশটির আকাশে শাওয়াল মাসের অর্ধচন্দ্রাকার চাঁদ দেখা যায়নি। যে কারণে শনিবার অর্থাৎ ২২ এপ্রিল ইসলামী উৎসবের প্রথম দিন পালন করবে দেশটি।
এদিকে, আরব বিশ্বের ১৩টি দেশের ২৫ জন বিশেষজ্ঞ জ্যোতির্বিদ যৌথভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, আজ (২০ এপ্রিল) আরব এবং ইসলামিক বিশ্বের কোথাও খালি চোখে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে না। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবুধাবিভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি)।
আইএসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, চাঁদ দেখার বিষয়টি আমাদের সম্মানিত পণ্ডিতদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং আমাদের মুসলিম পূর্বপুরুষরা ব্যবহারিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অর্ধচন্দ্র দেখার জন্য বেশ কয়েকটি মানদণ্ড স্থাপন করেছিলেন। এই মানগুলো আজও কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় এবং সেগুলো খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নির্ধারণে নির্ভুলতার জন্য সুপরিচিত।
প্রকৃতপক্ষে, পুরোনো এবং নতুন সব মানদণ্ড বলছে, আরব বিশ্ব থেকে বৃহস্পতিবার খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। এই প্রত্যাশা কোনো ব্যক্তি বা দলের মতামত নয়, বরং এটি বিশেষজ্ঞদের ঐকমত্য।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। যদি শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায় তাহলে শনিবার বাংলাদেশেও ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর তা না হলে ৩০ রোজা শেষে রোববার বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করা হবে।