হাওর ডেস্ক::
আরাধিয়া বচ্চনের বয়স মোটে ১১ বছর হলেও তারকা খ্যাতিতে মোটেই পিছিয়ে নেই। সেই খ্যাতির বিড়ম্বনা শিশুটিকে সইতে হচ্ছে এই বয়সেই। তাকে নিয়ে নানা তথ্য ছড়িয়ে আছে ইন্টারনেটে, যার মধ্যে নানা ভুল তথ্যও রয়েছে।
সেই ভুল তথ্য সরিয়ে ফেরার আরজি নিয়ে আরাধিয়া হাজির হয়েছিলেন আদালতে, তার পক্ষেই বিচারকের আদেশ এসেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়েছিলেন আরাধিয়া। তার পক্ষে আদালতে আবেদন করেন বাবা অভিষেক বচ্চন।
তার পক্ষে আদেশ দিয়ে অন্তত ১০টি ইউটিউব চ্যানেলের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছে দিল্লির একটি আদালত। এমনকি ওই চ্যানেলগুলোর মালিকের খোঁজ বের করতে ইউটিউব কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারক সি হরি শঙ্কর বলেন, শিশুদের সঙ্গে সব সময় মানানসই আচরণ করতে হবে। একটি শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ।
যেসব ভিডিওতে আরাধিয়ার স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ করেছে, তা গুগলের সার্চ অপশন থেকে সরিয়ে দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের আদেশে বলা হয়, এমন কোমলমতি একটি শিশুকে নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো ‘অসুস্থ চিন্তা’ এবং এ প্রচারের মাধ্যমে শিশুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উদাসীনতা প্রতিফলিত হয়েছে।
এদিকে এমন আপত্তিকর বিষয় মোকাবেলায় ইউটিউব কী ধরনের নীতি অনুসরণ করা হয়, তা জানতে চেয়ে গুগলকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
আরাধিয়ার মা অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায় সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড, বাবা অভিষেক বচ্চনও অভিনেতা, তারা দুজনই বলিউডের তারকা। আরাধিয়ার দাদা অমিতাভ বচ্চন বলিউড শাহেনশা হিসেবে খ্যাত, দাদি জয়া বচ্চনও খ্যাতিমান অভিনেত্রী।
তারকা পরিবারের সন্তান আরাধিয়া জন্মের পর থেকেই বলিউডে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে। এর আগেও একাধিকবার সোশাল মিডিয়ায় ট্রলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে শিশুটিকে। এ নিয়ে সব সময় বেশ সোচ্চার ছিলেন বাবা অভিষেক।