হাওর ডেস্ক::
মহাজাগতিক বিরল হাইব্রিড সূর্যগ্রহণের দৃশ্য কোথায়, কখন, কীভাবে দেখতে পাবেন তা নিয়ে জনমনে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা।
অতীতে এমন গ্রহণের দেখা মিলেছে ২০১৩ সালে। তবে দুটি ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণের মাঝে সাধারণত ১০০ বছরের বিরতি থাকে বলে জানিয়েছেন মহাকাশবিদেরা। বিরল ঘটনা ঘিরে ছিল দারুণ কৌতুহল।
পৃথিবীর আকাশে সূর্যগ্রহণের সময়ে সোনার আংটি সাদৃশ্য দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হলো পৃথিবী, জানাল নাসা।
বিরল সূর্যগ্রহণের নাম ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ। যার বিশেষত্ব চাঁদের ছায়া সূর্যের আকৃতির থেকে ছোট হয়। ফলে সূর্যকে চাঁদ পুরোপুরি আড়াল করতে ব্যর্থ হয়। চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে সূর্যের সোনালি বৃত্ত চারপাশ থেকে দৃশ্যমান হয়। মধ্যখানে অন্ধকার আর চারদিকে রক্তিম সোনালি বলয়ের সূর্যকে দেখতে লাগে খানিকটা সোনার আংটির মতো। যাকে বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য বলে অবিহিত করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
বিরল দৃশ্যর প্রত্যক্ষ দর্শক হতে জনমনে অন্তহীন কৌতূহল। নাসা আগাম বার্তা দিয়েছিল, হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ দেখা গেল শুধু একটি শহরেই।
অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের এক্সমাউথে দেখা মিলল বিরল দৃশ্যর। অস্ট্রেলিয়ার আরও বেশকিছু এলাকা যেমন ফিলিপিন্স, নিউজিল্যান্ড, ইস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আংশিক হাইব্রিড সূর্যগ্রহণের দেখা মিলল।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ এটি। চারটি গ্রহণ হবে চলতি বছরে। দুটি চন্দ্রগ্রহণ ও দুটি সূর্যগ্রহণ। চলতি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবরে।