বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ৭ এপ্রিল রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ উপলক্ষে দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও সুনামগঞ্জ মল্লিকপুরস্থ খাদ্য গুদামে ভার্চুয়ালি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে ১৮ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলেও এখনো চালু হয়নি এপস। সুনামগঞ্জে এবার ৫টি উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে অনলাইনে এপসের মাধ্যমে বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে এবার জেলার ৫ হাজার ৮২৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ১২শ টাকা মন দরে ১৭ হাজার ৪৮৩ মে.টন বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে। সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও দিরাই উপজেলা থেকে অনলাইনে এপসের মাধ্যমে বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে। তবে রবিবার কার্যক্রমের উদ্বোধন হলেও এপস খুলেনি। কবে অনলাইনে এপসের মাধ্যমে কৃষকরা আবেদন করতে পারবেন তারা জানেন না। এপস কবে সচল হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট কিছু বলতে পারছেনা জেলা খাদ্য অফিস। শান্তিগঞ্জ, শাল্লা, ধর্মপাশা, জগন্নাথপুর, ছাতক ও মধ্যনগর উপজেলা থেকে ম্যানুয়ালি ধান সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, খাদ্য গুদামে হয়রানির কারণে কৃষক ধান দিতে আগ্রহী নন। কারণ গুদামে ধান দিতে এসে সিরিয়ালে পড়েন। শুকানোর কথা বলে ধান নতুন করে শুকাতে দেওয়ার পর উল্টো নষ্ট হয়। বৃষ্টিতে ভিজে। এতে কৃষকের অর্থ, সময় ও পরিশ্রমের অপচয় হয়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ধান কেনা হলে লাভবান হতেন কৃষকরা।
সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. নজরুল ইসলাম ভ্ঞূা বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ৫টি উপজেলায় এপসের মাধ্যমে এবং ৬টি উপজেলায় ম্যানুয়ালি সংগ্রহ করা হবে। তবে এপসে সমস্যা করায় আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। পাশাপাশি উপজেলা গুদামগুলোতে কৃষকরা যাতে ধান দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।