স্টাফ রিপোর্টার::
পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের ৬ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ১৮ হাজার ঘরবাড়ি প্লািবিত হয়েছে। রোপান আমনের ৬৬৫ হেক্টর বীজতলা ও ৪ হাজার ৬৩৬ হেক্টর রোপা আমন তলিয়ে গেছে। তবে বেসরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুন বলে কৃষক ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
এদিকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা হিসেবে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সুনামগঞ্জ জেলায় ১০০ মে.টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এদিকে ঢল ও বর্ষণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নদনদীর পানি বেড়েই চলছে। রবিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮২ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জ জেলায় ১২৫ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরোম সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১৮ হাজার ৬৫০টি ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাস পানিতে থৈ থৈ করছে। ডুবে গেছে গস্খামীণ রাস্তাঘাট। বিশেষ করে পানি বৃদ্ধিও কারনে রোপা আমনের বীজতলা ও রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, সুনামগঞ্জ জেলায় পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে পরেই আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে সরকারের কাছে বরাদ্দ চেয়েছিলাম। আজ দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১০০ মে.টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকাসহ শুকনো প্যাকেটজাত খাবারও বরাদ্দ দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে তিনি জানান।