জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জগন্নাথপুরের একটি ভোটকেন্দ্রের একটি বুথে ছয় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণের শুরু থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের প্রভাকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে ছয় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি।
এ বুথে ভোটের সংখ্যা ৩৭৬টি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রটির ছয়টি বুথ ফাঁকা। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ১০০ জন। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরুর সময় থেকে ছয় ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ভোট পড়েছে মাত্র ২২০টি।
কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পিন্টু চন্দ্র সরকার জানান, ভোটারদের উপস্থিতিই খুবই কম। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোট হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটার নিতান্তই কম। অধিকাংশ কেন্দ্র ছিল প্রায় ভোটারশূন্য।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২ নভেম্বর সর্বশেষ জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আকমল হোসেন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। তার শূন্যপদে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে ২৫ মে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এ নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতাউর রহমান (লাঙল), জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুম কামালি সিতু (খেজুর গাছ), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হারুন রাশীদ (আনারস) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ তালহা আলম (কাপ পিরিচ)।
উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ১৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৩১ জন এবং নারী ভোটার ৯৯ হাজার ৯১৭ জন। নির্বাচনে স্থায়ী বুথ রয়েছে ৫২৯টি ও অস্থায়ী ৭০টি।
সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম। সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট ১৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্টিং হয়েছে।