পঙ্কজ কান্তি দাস, শাল্লা:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক বদলির নীতিমালা ভঙ্গ এবং শাল্লার বেকারদের চাকুরির স্বার্থ নষ্ট করে ঘুষের মাধ্যমে তাহিরপুর থেকে শাল্লায় সহকারি শিক্ষক বদলি করায় তাকে যোদগান না দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন শাল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রীতম দাস। ২৫ মে বৃহষ্পতিবার দুপুরে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং শাল্লা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকেও দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরি ইউনিয়নের আমানীপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও কৃষ্ণপুর হাজি আকবর আলী কলেজের শিক্ষক এটিএম আব্দুল্লাহর স্ত্রী রোমানা আক্তারকে নিয়মবহির্ভূতভাবে খালিয়াজুরি উপজেলায় বদলি না করে শাল্লা উপজেলায় বদলির আদেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রহমান। এতে আগামীতে শিক্ষক নিয়োগ হলে শাল্লার চাকুরিপ্রার্থীরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হবেন। একটি পদ স্থায়ীভাবে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের আন্ত উপজেলা বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তাহিরপুর উপজেলার সোহালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রোমানা আক্তারকে শাল¬ার আটগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মামুদনগর গ্রামে বদলির সুপারিশ করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেন। পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম আব্দুর রহমান একইভাবে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ওই শিক্ষিকাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বদলির আদেশ দেন। কিন্তু যে বিদ্যালয়ে বদলির আদেশ দিয়েছেন সেই বিদ্যালয়েও কোন শুন্যপদ নেই। এখন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসকে চাপ দিয়ে তাকে দ্রুত যোগদান দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাই ওই শিক্ষিকাকে যাতে কোনভাবেই শাল্লার এই বিদ্যালয়সহ এই উপজেলার কোন বিদ্যালয়ে যোগদান করানো না হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত আবেদনে উলে¬খ করেন আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান।
আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রীতম দাস বলেন, শাল্লা নানাভাবেই বঞ্চিত। জেলা শিক্ষা অফিসার আইন ভঙ্গ করে আমাদের শিক্ষক নিয়োগের একটি পদ নষ্ট করে বাইরের জেলার একজন শিক্ষককে বদলির আদেশ দিয়েছেন। কোন যাছাই করেননি। এই শিক্ষিকা এখানে যোগ দিলে আমাদের শাল্লার বেকারদের চাকুরির পথ বন্ধ হবে। এ কারণে আমি লিখিত আবেদন করে শাল¬া উপজেলার স্বার্থ রক্ষার দাবি জানিয়েছি। প্রয়োজনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বদলির নীতিমালা অনুযায়ী দক্ষিণ মামুদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির আদেশ পাওয়া ওই শিক্ষিকার বদলির সুযোগ নেই। এভাবে বদলি হলে শাল্লার আগামী নিয়োগে একজন শিক্ষক কম পাবে। এ বিষয়ে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান লিখিত আবেদন করেছেন। আমি এই আবেদনের আলোকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখব। তাছাড়া সঠিক কাগজপত্র ছাড়া ওই শিক্ষককে যাতে তড়িগড়ি করে যোগদান দেখানো না হয় আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।