শাল্লা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা থেকে শাল্লা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষককে বদলি নীতিমালা ভঙ্গ করে বদলি করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর পত্র দিয়েছেন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ২৯ মার্চ সোমবার সকালে তিনি উপজেলার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে নিয়ম বহির্ভূত এই বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। পত্রের একাধিক অনুলিপি বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন। নিয়ম বহির্ভূত এই বদলির কারণে আগামীতে শাল্লা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষার নিয়োগে চাকুরি প্রার্থীদের সুযোগ সীমিত করার পাশাপাশি এই ঘটনায় জনমনে অসন্তোষ তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
লিখিত পত্রে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব উল্লেখ করেন গত ২৫ মে শাল্লা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রীতম দাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে তাহিরপুর উপজেলার সোহালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রোমানা আক্তারকে শাল্লা উপজেলার দক্ষিণ মামুদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি আইন ভঙ্গ করে যোগদানের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষক তথ্য গোপন করে তার স্বামীর বাড়ি পার্শবর্তী নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরি উপজেলার কোন বিদ্যালয়ে বদলির বদলে তথ্য গোপন করে ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বদলির আদেশ প্রাপ্ত হয়েছেন। তার এই নিয়ম বহির্ভূত বদলি পরবর্তী নিয়োগে শাল্লা উপজেলার একজন শিক্ষক কম পাবে। এসব উল্লেখ করে তার বদলির আদেশ বাতিল করে এই উপজেলার কোন বিদ্যালয়ের বদলে খালিয়াজুরি উপজেলায় তাকে বদলি করার আহ্বান জানান অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রীতম দাশ।
এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব ২৯ মে সোমবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) কে চিঠি দিয়ে ‘সমন্বিত অনলাইন বদলী নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২’ এর ৩.৬ ও ৩.৯ ধারা পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন। চিঠির সঙ্গে তিনি ওই শিক্ষকের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার কাগজপত্র, চাকুরি ও বিয়ের কাগজপত্রও যুক্ত করেন। এই বদলির আদেশের ফলে আগামী নিয়োগে শাল্লার চাকুরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হওয়ায় জন অসন্তোষ বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। গঙ্গানগরে কোনও পদ না থাকর পরও কিভাবে শিক্ষক বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন প্রীতম দাশ। ২৫ আদেশ তিনি লিখিত আবেদন করে বদলি ও যোগদান আটকানোর অভিযোগ করার পরপরই একই দিন ওই শিক্ষককে আবারও নিয়ম বহির্ভূতভাবে শাল্লা উপজেলার গঙ্গানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির পুন আদেশ দেওয়া হয়েছে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, ‘সমন্বিত অনলাইন বদলী নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২’ লঙ্গন করে শাল্লায় একজন প্রাথমিক শিক্ষককে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে তাকে জোগদান না দিতে এবং শাল্লার চাকুরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত না করতে ব্যবস্থা নিতে আমার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। আমি আবেদনের প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।