বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে ভারত থেকে অবৈধভাবে শুল্ক ফাকি দিয়ে নিয়ে আসা শাড়ি, কাপড়, চকলেট, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। বুধবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির প্রধান গেইটের সামনে এসএ পরিবহনের গাড়ি জব্দ করে এই মালামাল আটক করা হয়। এ ঘটনায় এসএ পরিবহনের ম্যানেজার শওকত কামালকে আবারও আটক করা য়েছে। উল্লেখ্য এর আগেও এসএ পরিবহনে ভারতীয় অবৈধ পণ্যের গাড়ি জব্দ করেছিল টাস্কফোর্স।
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির প্রধান গেইটে গিয়ে দেখা যায় ‘এসএটিভি’র লগো লাগানো এসএ পরিবহন তল্লাসি করছে পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনের লোকজন। কাভার্ড ভ্যানের ভিতরে বস্তায় সব মালামাল ভারতীয় অবৈধ পণ্যে ঠাসা। গাড়ি তল্লাসি করে পুরো গাড়িতেই ভারতীয় শাড়ি, কাপড়, শ্যাম্পু, সাবান, মেহেদি, চকোলেটসহ নানা ধরণের মূল্যবান প্রসাধনী ভর্তি বস্তা কেটে টাস্কফোর্সের সদস্যরা আলাদা করে সাজিয়ে খাতায় গুণে রাখছেন। রাত দেড়টা পর্যন্ত অভিযান চলে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই সম্পূর্ণ পণ্য গুণে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের পণ্য জব্দ দেখায় টাস্কফোর্স। এসময় সুনামগঞ্জ এসএ পরিবহনের ম্যানেজার শওকত কামালকে আটক করা হয়। এর আগেও গত জানুয়ারি মাসে এসএ পরিবহনে ভারতীয় পণ্য ভর্তি একটি চালান জব্দ করে টাস্কফোর্স। এসএ পরিবহণ নিয়মিত এভাবে ভারতীয় অবৈধ পণ্যের চালান সরবরাহ করে বলে জানান টাস্কফোর্সের সংশ্লিষ্টরা।
টাস্কফোর্সের অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বুরহান উদ্দিন জানান, বিজিবির প্রধান গেইটের সামনে রাতে এসএ পরিবহনের একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করে বিজিবি। পরে টাস্কফোর্স কাভার্ড ভ্যানের ভিতর থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পণ্য জব্দ করা হয়। এগুলো শুল্ক ফাকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাতের জন্য এসএ পরিবহনে পরিবহন ব্যবহার করা হয়। এর আগেও আমরা এসএ পরিবহনের গাড়ি ভর্তি ভারতীয় অবৈধ পণ্যের চালান জব্দ করেছিলাম। এ ঘটনায় এসএ পরিবহনের ম্যানেজারকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত পণ্য আদালতের মাধ্যমে নিলাম দেওয়া হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বুরহান উদ্দিনবলেন, আমরা এসএ পরিবহনের কার্ভার্ড ভ্যান থেকে যে ভারতীয় অবৈধ পণ্যের চালান জব্দ করেছি তার বৈধ কাগজপত্র ছিলনা। তবে তারা যেহেতু প্রায়ই এভাবেই ভারতীয় অবৈধ পণ্যের চালান সরবরাহ করে এবং আটক হয় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে কথা বলব। যাতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।