স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের ধোপাজানে রাতের আঁধারে অবাধে চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী ড্রেজার মেশিনে অবৈধভাবে বালু-পাথর আহরণ। শুক্রবার গভীর রাতে প্রায় ২০টি ড্রেজার মেশিন অবৈধভাবে বালু-পাথর আহরণ করতে যাওয়ার মুহুর্তে এলাকাবাসী তা জব্দ করতে পুলিশকে খবর দেন। তবে পুলিশ এসে বিলম্বে উপস্থিত হওয়ায় নৌকা ও ড্রেজার নিয়ে পালিয়ে যায় কারবারিরা।
এলাকাবাসী ও সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় রাতের আঁধারে ধোপাজান নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন পরিচালনা করে একটি সিন্ডিকেট। অলির বাজার, সদরগড়, সাববাড়ির মুখ, সৈতপুর, ডলুড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতে অর্ধ শতাধিক ড্রেজার মেশিনে বালু-পাথর আহরণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সিন্ডিকেটের কয়েকজনসহ সুনামগঞ্জ সদর থানার দুই পুলিশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছিল সরকারের বিভিন্ন মহলে। উল্লেখ্য ধোপাজান পাথর মিশ্রিত বালু মহালটি দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিনে বালু পাথর উত্তোলনের অভিযোগে সরকার ইজারা বন্ধ রেখেছে।
এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার রাতে ওয়েজখালি ঘাটে প্রায় ২০টি ড্রেজার মেশিনসহ কয়েকটি নৌকা জড়ো করা হয় ধোপাজান নদীতে প্রবেশ করেয়ি বালু আহরণের জন্য। এই খবর পেয়ে স্থানীয়রা সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে অবগত করেন। কিন্তু পুলিশ বিলম্বে আসার কারণে ড্রেজার নিয়ে নৌকাগুলো পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে আব্দুজ জহুর সেতুর নিচ থেকে একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছে।
ওয়েজখালি এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া বলেন, প্রতিদিন রাতে আমাদের এলাকাসহ আশপাশে অনেক ড্রেজার ধোপাজানে বালু আহরণের জন্য জড়ো করা হয়। সুযোগ বুঝে এগুলো নদীতে প্রবেশ করিয়ে বালু আহরণ করা হয়। শুক্রবার রাতে ড্রেজারের বহর দেখে আমরা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ দেরিতে আসে। যার ফলে তারা পালিয়ে যায়। পরে একটি ড্রেজার জব্দ করে পুলিশ।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পাবার পর আমরা একটি নৌকা জব্দ করেছি। যখনই খবর পাই আমরা পরিবেশ বিধ্বংসী এসব যন্ত্র জব্দ করি। তবে কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তিনি জানেন না বলে জানান।