বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেঁষা পুকুরের পারে ও সুরমা নদী তীরে জেলা প্রশাসকের মালিকানাধীন জায়গায় পাকা ঘর তৈরি করে মার্কেট বানানো হলেও কিছুই জানেনা জেলা প্রশাসন। তবে পৌরসভার সংশ্লিষ্টরা বলছেন জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে শহরের ফুটপাতে যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা চাল, সব্জির বাজার ওখানে নিয়ে আসতেই অস্থায়ী বাজার তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেওয়ার চেষ্টা করবে পৌরসভা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে ১৪৪ জেএলস্থ তেঘরিয়া মৌজায় ৩৯১ ও ৩৯৫ নং দাগে জেলা প্রশাসনের ৫০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ২৭ শতাংশ জায়গা রয়েছে। ওই জায়গায় ভারপ্রাপ্ত মেয়র রাসেল আহমেদের সময় সুনামগঞ্জ পৌরসভা অস্থায়ী মোরগবাজার তৈরি মৌখিক ইজারা দেওয়া হলে জেলা প্রশাসন স্থাপনা ভেঙ্গে ও অপসারণ করে দেয়। সম্প্রতি অপসারিত ওই স্থাপনাগুলো আবারও সংস্কার করে ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে আরো প্রায় ২০টির মতো পাকা টিনশেডের ঘর তৈরি করা হয়েছে। পুরনো গারদের বারান্দা ভেঙ্গে নতুন আরো প্রায় ২০টি পাকা ঘর তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে একটি পুরনো বটবৃক্ষ।
সরেজমিন বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আরপিন নগরের সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি এই দোকানগুলো নির্মাণকাজ তদারকি করছেন। তিনি জানান, ডিসি অফিসের অনুমতি নিয়ে পৌরসভা এখানে অস্থায়ী মার্কেট তৈরি করছে। এগুলো সব্জি ব্যবসায়ী ও চাল দোকানদারদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে গোপনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দোকান বরাদ্দের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, ডিসি অফিসের পরিত্যাক্ত জায়গায় যা ব্যবহার হচ্ছেনা তা অস্থায়ীভাবে মার্কেট করার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিয়েছি। পরে আমরা বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করবো। তিনি বলেন, শহরের যত্রতত্র সব্জির হাট বসছে, তাদেরকে রাস্তা থেকে নিয়ে আসতে এবং চালের দোকানদারদের এখানে নিয়ে আসার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী বলেন, ডিসি খতিয়ানের জায়গায় কারা মার্কেট করছে জানিনা। জেলা প্রশাসন কোনও মার্কেট তৈরি করতে পারেনা। তবে আমি খোজ নিয়ে বিষয়টি দেখতেছি।