অনলাইন ডেক্স::
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে মসজিদের মক্তবের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে উপজেলার বরকামতা সরকার বাড়ি মসজিদের ইমাম ও ওই মক্তবের শিক্ষক হাবিবুল বাশার হাবিব (২২)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইমামকে আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অসুস্থ শিশুটি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাবিবুল বাশার কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার এলাহাবাদ ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের মোশা কাজী বাড়ির আলী আহম্মেদের ছেলে। সে ওই মক্তবের অনেক ছাত্রীকে উত্যক্ত্য করতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে যায় ওই ৫ বছরের এক শিশু কন্যা। শিশুটি বাড়ি ফেরার পর তার অঝোর কান্না দেখে মা কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে ঘট না খুলে জানায়। ওই ছাত্রী মাকে জানায়, মক্তবের ছুটি শেষে ওই ইমাম সকল ছাত্র ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে তাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা শোনে প্রথম ওই ছাত্রীর দরিদ্র পরিবার মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মেয়ের শারিরিক অবস্থা খারাপ দেখে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। তখনই স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন। পরে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী ওই ভন্ড ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশের কাছে ধর্ষনের ঘটনা স্বীকার করেছে ইমাম।
জানা গেছে অভিযুক্ত মসজিদের ওই ইমাম হাবিব চান্দিনা আলামিন মাদ্রাসার ফাযিল বিভাগের ছাত্র। বছর দু’য়েক আগে চান্দিনা উপজেলার বারেরা গ্রামের এক মসজিদে ইমামতি করা কালে ১৮ বছরের এক যুবতীর সাথে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী অপ্রীতিকর ঘটনায় ধরে ওই মেয়ের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন। তবে দেড় বছর আগে হাবিব ওই স্ত্রীকে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত ইমামকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।