সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা চলছে। বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল এরই মধ্যে ঘোষণা হয়েছে। নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল নিচে দেওয়া হলো।
সিসিকের ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। হাদী সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের আদেশ অমান্য করে নির্বাচন করায় তাকে দলকে আজীবন বহিস্কার করে বিএনপি।
২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে বিক্রম কর সম্রাট বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক ছিলো লাটিম। ঐ ওয়ার্ডের মোট দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে টানা চতুর্থ বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন রেজওয়ান আহমদ। ঝুঁড়ি মার্কা প্রতীকে রেজওয়ান আহমদ পেয়েছেন ২৩৫৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক্টর প্রতীকে সাহেদ সিরাজ পেয়েছেন ২৩২৪ ভোট। এই ওয়ার্ডে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে জগদীশ চন্দ্র দাশ বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। জগদীশ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সলর।
৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ মখলিছুর রহমান কামরান। ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে এবার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের তিনি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে আব্দুর রকিব বাবুল (ঘুড়ি প্রতীক) বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মুহিত জাবেদ। এই ওয়ার্ডে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এ নিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন।
২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. আব্দুর রকিব তুহিন (লাটিম প্রতীক)। এই ওয়ার্ডে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
২২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. ফজলে রাব্বী চৌধুরী (মাসুম)।
৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. রকিব খান। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে তিনি পেয়েছেন মোট ৯৫২ ভোট। এই ওয়ার্ডে মোট ১৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। ঐ ওয়ার্ডে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। জাহাঙ্গীর আলম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জরিড় রয়েছেন। তিনি প্রথম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে হিরন মাহমুদ নিপু (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট পাঁজজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নিপু সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
৩৯ নং ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আলতাফ হোসেন সুমন। ঐ ওয়ার্ডে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সুমন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। দলের আদেশ অমান্য করে নির্বাচন করায় তাকে দলকে আজীবন বহিস্কার করে বিএনপি। তিনি প্রথম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন।
(সৌজন্যে: সিলেট মিরর)