হাওর ডেস্ক::
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, জাতিসংঘ সফলভাবে তার শান্তিরক্ষা অভিযানের ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পেশাদারির সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সৈন্য প্রেরণকারী দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় ৭৫০০ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ নিযুক্ত রয়েছে।
’
ক্যাথরিন পোলার্ড যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন রোধে ট্রাস্ট ফান্ডে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নারী নিরাপত্তা এবং (জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে) নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় নিজস্ব অর্থায়নে প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।