স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের গৌরারং ইউনিয়নে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিতরণকৃত ভিজিএফ এর চাল গরিব ও অসহায়দের বদলে স্বচ্ছলদের মধ্যে বিতরণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ অসহায় লোকজন গত ২৫ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে সহায়তা কামনা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যানকে তলব করে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ঈদের চাল বিতরণের নির্দেশনা দিলেও সেটা মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ২৬ জুন লালপুর এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদেরকে তালিকাভূক্ত না করে যারা তুলনামূলক স্বচ্ছল, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্বাচনে খেটেছেন তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের চালের জন্য নাম দেওয়া হয়েছে। তারাই চাল পেয়েছেন। ১নং ওয়ার্ডের রাবিয়া বেগম, সমদ আলী, দারগা আলী, মরম আলী, সকিনা, ৩নং ওয়ার্ডের কুতুবপুর গ্রামের রোনিয়া আক্তার, মজিদা বেগম, সাহাব উদ্দিন, নূরনেছা, মহিবুরসহ অন্তত অর্ধশত অসহায় ও হতদরিদ্ররা জানান, তাদের বদলে চেয়ারম্যান মেম্বার ধনীদের নাম দিয়েছেন। তারাই ১০ কেজি করে ঈদের চাল পেয়েছেন।
রাবিয়া বেগম বলেন, আমার অনেক পুরুতা। তারারে লইয়া কষ্টে আছি। কত অনুরোধ করলাম মেম্বার চেয়ারম্যান সাবরে। তারা কেউ আমার নাম দিলনা। যারারে দিল তারা ধনী লোক।
কুতুবপুরের মনিরা বেগম বলেন, আমরা ঈদের চাল পাইবার উপযুক্ত। কিন্তু আমরারে দেয়নাই। কয়েকবার গিয়া ঘুইরা আইছি। শেষে ইউএনও সাবের কাছে গিয়াও বিচার দিছি। তারবাদেও পাইছিনা।
ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, আমাদেরকে অল্প নাম দেওয়া হয়েছে। অথচ এই চাল ও সহায়তা পাওয়ার উপযুক্ত কয়েক হাজার মানুষ। যার কারণে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তালিকায় কোন অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি হয়নি বলে জানান তিনি।