বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামঞ্জের হাওরে এখন বর্ষার পানি টইটুম্বুর করছে। বর্ষার পানিতে হাওর ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন নি¤œাঞ্চলের গ্রামীণ নিচু রাস্তাঘাট ঢল ও বর্ষণের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। শনিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত ৩৩২মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
এদিকে সকালে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরের সাহেববাড়ি ঘাট, বাজার এলাকা, লঞ্চঘাট, কাজির পয়েন্ট, নতুনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাহিরপুর বাদাঘাট সড়ক তলিয়ে যান বিঘিœত হচ্ছে। মধ্যনগরে সোমেশ্বরী ও উবদাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মধ্যনগর মহেশখলা সড়ক ডুবে গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। নদ নদীর পানি আরো বাড়লে এবং ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা-২ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বর্ষণে নি¤œাঞ্চলের রাস্তাঘাট প্লাবিত হচ্ছে। শহরের কাজির পয়েন্টে, সাহেববাড়ি, নবীনগর, বাজার এলাকা প্লাবিত হয়ে শহরের নিচু এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবহাওয়া ও বন্যা তর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টায় উজানের ভারী বর্ষণ ও ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা,পুরাতন সুরমা, যাদুকাটা, কংস নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার কতিপয় নি¤œাঞ্চলের স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সুনামগঞ্জেও সুরমার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।