সাইফ উল্লাহ:
হিন্দু শাস্ত্র মতে দূর্গোপূজোর মহাঅষ্টমীর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে শুদ্ধ আত্মায় ভগবতির আয়না ও জলেতে সূর্যের বেশী প্রকাশ পায়। যেখানে সব নারীর মাঝে জগত জননীর প্রকাশ কিন্তু শুদ্ধ আত্মা অর্থাৎ অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীকে দিয়ে মূলত কুমারীতে ভগবতির বেশী প্রকাশ পায়,তাই ভগবতীতে কুমারী পূজা করা হয় বলেই সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোপূজোর আজ মহাঅষ্টমীতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
আজ রোববার সকাল থেকেই শহরের ঘোলঘরস্থ রামকৃষ্ণ আশ্রমসহ সকল পূজামন্ডপে চলছে দেশ ও জাতির কল্যাণে আরাধনা ও প্রার্থনা। মহাঅষ্টমীর দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীপূরুষ আবাল বৃদ্ধ বনিতারা উপবাস থেকে মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে পূজো দিয়ে নিজের স্বামী সন্তান আত্মীয় স্বজন সহ দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে মায়ের চরণে পুষ্পাজ্ঞলী(অজ্ঞলী) দিয়ে প্রার্থনা করেন। পূজো শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তবৃন্দের মাঝে। সবাই প্রসাদ ভক্ষণ করে উপবাস ভাঙ্গেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,রামকৃষ্ণ আশ্রমের হৃদয়ানন্দ মহারাজ(লালন) কমিটির সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কমিটির সাধারন সম্পাদক যোগেশ^র দাস এবং আশ্রমের পুরোহিত অমিত চক্রবর্তী,সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদেও সভাপতি এড.বিমান কান্তি রায় ও সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক এবং সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস তালুকদার প্রমুখ।
এদিকে যেকোন ধরনের অপ্রীতির ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পূজো মন্ডপে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য র্যাব,পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও সাদা পোশাকে গোযেন্দা নজরদারিতে সার্বক্ষনিক কাজ করছেন গোযেন্দা বাহিনীর সদস্যরা। এখ নপর্যন্ত পুরো জেলায় ৪২৬টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূর্গোপূজোর সাবিৃক পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানা যায়।
উল্লেখ গত ২০ অক্টোবর মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার আনুষ্টানিকতা শুরু হয় এবং আগামি ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দূর্গপূজার সমাপ্তি ঘটবে।