বিশেষ প্রতিনিধি::
বিএনপি জামায়াতের ডাকা হরতালের সময় সুনামগঞ্জের মদনপুর পয়েন্টে জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক-সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫৯ জনকে। এছাড়াও আরো ২০-২৫জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. কাওসার মামুদ তোরণ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলের নেতৃত্বে এজাহারভুক্ত আসামিরা গত বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে লাটিসোটা, রড ও ইটপাটকেল নিয়ে অবরোধের সমর্থনে পিকেটিংয়ে নামেন। তারা বেআইনীভাবে একাধিক গাড়ি ভাঙ্গচুর করে সড়ক পথে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এতে জনমনে অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্র ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারভূক্ত আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা কৃষক দল সভাপতি আনিছুল হক, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মুনাজ্জির হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু, জেলা ছাত্রদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক তারেক মিয়া, যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম, মাহবুব ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম সৌরভ, যুবদল নেতা শাহ ফরহাদ, সাইফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, সজল আহমদ, জাবের আহমদ, নূর আলী, আমির উদ্দিন, মহিবুর রহমান মানিক, তোফাজ্জল হোসেন, চান মিয়া, সিজিল মিয়া, রুবেল, রমজানুল করিম পাপন, নাঈম আহমদ শিশির, কাউসার আহমদ, রেজওয়ান আহমদ, জহির উদ্দিন, নুরুল, সুপ্রিয়, জাহিদুল হক, ইকবাল হোসেন, হুশিয়ার আলী, মাহমুদুল হাসান মিলন ও খয়রাত মিয়া। এছাড়াও আরো ২০-২৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। সড়কপথে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।