স্টাফ রিপোর্টার::
দেশব্যাপী সজ্জন রাজনীতিবিদ খ্যাত এবং দক্ষ ও সৎ মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়ায় হতাশ সুনামগঞ্জবাসী। সরকারের টানা দুই মেয়াদে তিনি প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সুনামগঞ্জকে জাতীয় উন্নয়ন সমতায় পৌঁছে দিতে কাজ করেছেন তিনি। স্বাধীনতার পর সুনামগঞ্জে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন ও মেঘাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মনে করেন জেলাবাসী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এমএ মান্নান। তার কাছে পাত্তাই পাননি তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক এমপি মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। এবার বিজয়ের পরেই জেলার সুধীজন ও তার নির্বাচনী এলাকার মানুষেরা আবারো আশাবাদী হয়ে ওঠেছিলেন এমএ মান্নান আবারও মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে কোন স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছিলনা। ক্ষমতায় থাকার সময় তার আতœীয়-স্বজনরাও দূরে ছিলেন। ফলে কোন অভিযোগই ছিলনা। বরং মানুষের কল্যাণে তিনি নিজের বাড়িঘর সরকারের নামে লিখে দিয়ে মা ও বাবার নামে বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান করেছেন। তাছাড়া এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেও তিনি সবার মন জয় করতে পেরেছিলেন। নিজ এলাকায় প্রশাসনকেও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালনে প্রভাব বিস্তার করেননি তিনি। এসব কারণে তিনি আবারও মন্ত্রী হচ্ছেন এই নিয়ে আশাবাদী ছিলেন সবাই। তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী না পাওয়ায় তার কোন হতাশা না থাকলেও নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ আশাহত হয়েছেন। তার মতো একজন সৎ, দক্ষ মানুষ মন্ত্রী হলে এই অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করেন সুধীজন।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বিজু বলেন, আমরা আশাবাদী ছিলাম দক্ষ ও সৎ মন্ত্রী আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী আবারও মন্ত্রীত্ব পাবেন। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত ছিটকে পড়ায় আমরা হতাশ। তবে তাকে নেত্রী মূল্যায়ণ করবে বলে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে যার মাধ্যমে জেলায় সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে সেই নেতা এমএ মান্নান। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ,কৃষি, কর্মসংস্থানসহ নানা উন্নয়ন অবকাঠামো হয়েছে তার কল্যাণে। যা জেলা বাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন।
এদিকে গতকাল বৃহষ্পতিবার শেষ কার্যদিবসে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এমএ মান্নান। বিদায় বেলায় কোন আক্ষেপ বা কষ্ট আছে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা। তখন তিনি বলেন, ‘নো নো আমি এনজয় করেছি। আমার কোন কষ্ট নেই। আমি মন্ত্রী না থাকলেও সংসদে আছি। সংসদ সরকারের উপরে। আমি দলের একজন কর্মী। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। দল যেখানেই আমাকে কাজে লাগাবে আমি কাজ করবো।