হাওর ডেস্ক::
চন্দ্রযান ‘মুন স্নাইপার’ শনিবার (২০ জানুয়ারি, শক্রুবার মধ্যরাত) নির্বিঘে চাঁদে অবতরণ করায়, জাপান সফলভাবে চাঁদে অবতরণকারী পঞ্চম দেশের মর্যাদা অর্জন করলো। চন্দ্রপৃষ্ঠে সূর্যের আলো পড়া শিওলি কার্টার নামের একটি এলাকায় অবতরণ করেছে যানটি। তবে মুন স্নাইপারের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন ব্যাটারির ওপর নির্ভর করছে যানটি।
উত্তেজনাপূর্ণ ও উদ্বেগজনক ২০ মিনিটের অবতরণ পর্ব শেষে জাপানের মহাকাশ সংস্থা এ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) বলেছে,তার স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (এসএলআইএম) চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে এবং যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। জাক্সা-এর কর্মকর্তা হিতোশি কুনিনাকা বলেছেন, সৌর কোষ গুলো কাজ না করায় উচ্চ প্রযুক্তির মুন স্নাইপার কয়েক ঘন্টা সক্রিয় থাকবে।
হিতোশি কুনিনাকা বলেছেন, মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এখন ডাটা সংগ্রহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে পারে। তিনি ধারণা করছেন, একবার সূর্যের কোণ পরিবর্তন হলে ব্যাটারিগুলো আবার কাজ করতে পারে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সৌর ব্যাটারি অকেজো হয়ে গেছে এমন নয়। এটা হতে পারে, মিশনের মূল পরিকল্পিত দিকে সোলার প্যানেল মুখ ফেরাতে পারছে না।” এর আগে তিনি জানিয়েছিল, শিওলি কার্টার এলাকায় ১০০ মিটারের (৩২৮ ফুট) মধ্যে স্লিমকে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, এবং সেই অনুযায়ীই অবতরণ করেছে স্লিম।
কুনিনাকা বলেন, “অবতরণ সফল না হলে, এটি বিধ্বস্ত হয়ে যেত।
যদি তা হতো, তাহলে অনুসন্ধানের সব কার্যকারিতা হারিয়ে যাবে। তবে মুন স্নাইপার থেকে ডাটা পৃথিবীতে পাঠানো হচ্ছে।” প্রথম মানবযান চাঁদে অবতরণের ৫০ বছর পর জাপনের স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (এসএলআইএম) চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে। ক্রাশ ল্যান্ডিং যোগাযোগ ব্যর্থতা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা মোকাবেলা করে কেবলমাত্র চারটি দেশ চাঁদে পৌঁছেছে। এরা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন এবং ভারত।
নাসা প্রধান বিল নেলসন তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করার জন্য জাপানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন,‘আমরা মহাজাগতিক অভিযাত্রায় আমাদের অংশীদারিত্ব এবং অব্যাহত সহযোগিতাকে মূল্য দিই।’