স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর সুরমা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রদানকারী ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডশন’র উদ্যোক্তারা এবার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মা বাবাকে নিয়ে শিক্ষাবৃত্তি গ্রহণের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দিয়েছেন। ২০২৩ সালে আব্দুল গণি ফাউন্ডেশনের বৃত্তিপ্রাপ্ত ৬২ জন শিক্ষার্থী তাদের মা বাবাকে নিয়ে মেধাবৃত্তির পুরস্কার গ্রহণ করেন। অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৬২ জন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীকে বিশেষ পুরস্কারও প্রদান করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সুরমা ইউনিয়নের মঙ্গলকাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ড. মোহাম্মদ সাদিক।
প্রায়াত আব্দুল গণির জ্যেষ্ট সন্তান হাজী আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও প্রয়াতের সন্তান ডা. এম নূরুল ইসলামের সঞ্চলানয় অনুষ্ঠিত বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ফাদার দিলীপ সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম সাচ্চু, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আবুল কালাম, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সভাপতি পঙ্কজ দে, প্রভাষক জোছনা বেগম, শামীম আহমদ, বাহা উদ্দিন সরকার, জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ সাদিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বদেশ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালোবাসেনা তারা যতই ভালো হোক তারা আমাদের কেউ না। যে আমাদের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় সংবিধানকে শ্রদ্ধা করেনা সে যতই মেধাবী হোকনা কেন সে আমাদের কেউ না। তিনি আরো বলেন, আমি সচিব হয়ে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হয়ে জন্মাইনি। তোমরা এখন যেখানে আছো একদিন সেখানে থাকবেনা। তোমরা পাখি হয়ে যাবে। উড়তে উড়তে কোথায় যে যাবে তুমি নিজেও জাননা। তবে ওড়ার সময় পাখির সংলাপ ভুলোনা, মা, বাবাকে ভুলবেনা। যে তার জন্মভূমিকে ভালোবাসেনা, পরিবেশ, প্রতিবেশ, প্রকৃতিকে ভালোবাসেনা সে যতই ভালো হোক না কেন সে আমাদের কেউ না। তাই দেশকে ভালো বাসতে হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, আপনারা যদি মনে করেন আপনাদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বাইরে থেকে এসেছে, তারা কেবলই আপনাদের ছাত্রছাত্রী তাহলে আপনি শিক্ষক হতে পারবেন না। প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের নিজের সন্তান মনে করতে পারলেই আপনি প্রকৃত শিক্ষক হতে পারবেন। ছাত্রছাত্রীদের উন্নতির জন্য চিন্তা ও দুশ্চিন্তা না করতে পারলে আপনি ভালো শিক্ষক হতে পারবেন না।