স্টাফ রিপোর্টার::
বন্যায় আবাসস্থল ডুবে যাওয়া এবং আবাস্থল কেটে পরিষ্কার কারণে সুনামগঞ্জ শহরে হঠাৎ ক্ষেপাটে শিয়াল হানা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহষ্পতিবার শেয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এর মধ্যে ১০ জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে প্রাইভেট ক্লিনিক-চেম্বার থেকেও চিকিৎসা নিয়েছেন। শেয়ালের কামড় আতঙ্ক বিরাজ করছে শহরের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের মরাটিলা, নতুনপাড়া, পূর্ব নতুনপাড়ায় হঠাৎ শিয়ালের উৎপাত বেড়েছে। এসব এলাকায় গত তিনদিনে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সবজান বিবি, কাজল রঞ্জন দে, নীলকণ্ঠ দাস, সুধাংশু রায়, রাজন দাস, বেণু দাস, সুমন দাস ও সুভাষদাসসহ অন্তত ১০ জন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও এই এলাকায় শিয়ালের কামড়ে প্রাইভেট চিকিৎসা নিয়েছেন আরো কয়েকজন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন বন্যায় শহরের জঙ্গল আকৃতির পরিত্যাক্ত এলাকা ডুবে গেছে। তাছাড়া অনেকে এসব জঙ্গল এলাকার গাছ-গাছালি কেটে আবাসিক এলাকার রূপ দিচ্ছেন। যার ফলে এসব এলাকায় বসবাস কারী শিয়ালগুলো আবাস হারিয়ে দিন-দুপুরে মানুষের বাসা-বাড়ির নিরব স্থান ও রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে মানুষজনকে পেয়ে কামড়াচ্ছে এসব শিয়াল।
শহরের হাছননগর এলাকাবার বাসিন্দা রিঙ্কু চৌধুরী বলেন, বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় আমার সামনে মরাটিলা এলাকায় এক নারীকে কামড়িয়েছে উন্মাদ শেয়াল। শেয়ালের আক্রমণে ওই নারী আক্রান্ত হওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন। এভাবে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় হঠাৎ শিয়ালের উৎপাত বেড়েছে। বন্যার কারণে আবাসস্থল ডুবে যাওয়া ও শহরের জঙ্গল আকৃতির স্থানগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করার কারণে এটা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম রায় বলেন, শিয়ালের কামড়ে গত বুধ ও বৃহষ্পতিবার আমাদের হাসপাতাল থেকে অন্তত ১০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা তাদেরকে জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা দিয়েছি।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, পৌর শহরের কয়েকটি পাড়ায় হঠাৎ শিয়ালের আক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। কয়েকজনকে কামড়িয়েছেও। আমরা আক্রান্তদের খোজ খবর নিয়েছি।