স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকায় এক দিন মজুর ভ্যান চালকের ৬ বছরের শিশুকন্যাকে চকলেক খাওয়ানোর কথা বলে ধর্ষণ করেছে এক তরুণ। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার রাতে ধর্ষিতা শিশুকন্যার পিতা সুনামগঞ্জ সদর থানায় নবীনগরের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আলা উদ্দিন (২০) কে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে শহরতলির মাইজবাড়ির বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার বাবা মা চার সন্তান নিয়ে নবীনগরে একটি বস্তিতে বসবাস করেন। মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। বাবা ভ্যান রিক্সা চালান। তাদের চার সন্তান রয়েছে। ওই কন্যা সন্তান তাদের তৃতীয়। শনিবার সন্ধ্যারাতে নিজ বাড়ির পাশে উঠানে একাই খেলা করছিল। এসময় পাশের বাড়ির ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন (২০) চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আড়ালে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি কান্না শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে দেখেন পরনের কাপড় ভেজা ও রক্তের দাগ। এ নিয়ে হুলস্তোল শুরু হলে ধর্ষক আলা উদ্দিন পালিয়ে যায়। শিশুকন্যাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন মা বাবা। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই সুনামগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের এসআই মতিউর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে আলাউদ্দিনের পিতা ইদ্রিস আলী (৫০), মা দিল বাহার (৪৫), মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর (২৫) ও বোন জামাই বিল্লাল হোসেনকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে আসেন। রবিবার রাতে ভিকটিমের বাবা আলা উদ্দিনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
ভিকটিমের বাবা বলেন, আমি গরিব মানুষ। ভ্যানগাড়ি চালাই। আমার স্ত্রী মানুষের বাড়ি কাজ করে। চার সন্তান নিয়ে আমরা বস্তিতে থাকি। আমাদের টাকা পয়না নাই। মামলা চালাবো কিভাবে। তবে আমার অবুঝ মেয়ের সর্বনাশ করেছে যে বখাটে তার শাস্তি চাই।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী বলেন, শিশু ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে রাতে মামলা হয়েছে। আমরা আমরা মূল অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।