স্টাফ রিপোর্টার::
ইঁদুর ও কাকড়ার কারণে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা। বৃহষ্পতিবার বাধ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় টেকনিক্যাল পার্সন হিসেবে এই আশঙ্কার কথা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তিনি বলেন, সব উপজেলায় ঝূকিপূর্ণ বাধগুলোতে জিওব্যাগ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে ইঁদুর ও কাকড়ার গর্তের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। সুনামগঞ্জের ৩৮টি হাওরের ফসলরক্ষা বাধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে দাবি করে বৃহষ্পতিবার বাঁধ সংক্রান্ত মতবিনিময়সভায় এসব কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহষ্পতিবার দুপুরে জেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মতবিনিময়সভায় তিনি এই কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় মতবিনিময়সভায় বক্তব্য দেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মামুন হাওলাদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্ম কর্তা শফিকুল ইসলাম. শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান নয়ন, পিপি এডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন. বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
কমিটির টেনিক্যাল পার্সন নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার ৩৮টি হাওরে ৭৩৪ টি পিআইসির মাধ্যমে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানা সমস্যার কারণে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। মার্চে কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বাধের দিকে পিআইসিসহ সংশ্লিষ্টদের নজর রয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার চার হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদিত হবে। ইতোধ্যে ধান কর্তনের যন্ত্রপাতিসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায়ও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন।