বিশেষ প্রতিনিধি::
কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুস শহীদ এমপি কৃষকরা যাতে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পায় মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট তৎপরতা শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সেদিকে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই মওসুমে মধ্যসত্ত্বভোগীরা যেনো কোন ধরনের সুবিধা নিতে না পারে, সিন্ডিকেট করে কৃষকদের বিপদে ফেলতে না পারে সেদিকে আমাদের সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রশাসন ও জনপ্রতনিধিদের সজাগ থাকতে হবে। সরকার কৃষকের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য দিতে চায়। শেখ হাসিনার সরকার কৃষি ও কৃষককে গুরুত্ব দিয়েই কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী আলোচনাসভার আগে হাওরে নিজ হাতে এমপি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ধান কাটেন। পরে তিনি দুটি কম্বাইন হার্ভেস্টর প্রদান করেন দুই কৃষককে।
শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের পাশে দেখার হাওরে ধানকাটা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের এমপি ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ ১ আসনের এমপি অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাইদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এহসান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেচ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রণজিত কুমার দেব, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আবুল কালাম প্রমুখ।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহিদ আরো বলেন, সুনামগঞ্জ কৃষির জন্য ঝুকিপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্যা দুর্যোগ ঘনঘন হয়। খরায়ও ক্ষতি হয়। হাওরের কৃষকরা কষ্ট করে ফসল ফলান। তারা অনেক সময় ন্যায্যমূল্য পাননা। তাই তারা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেটা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, হাওরের কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে সরকার আগামী পরশু সভা করবে। আমরা এই সভায় ধান চালের দাম নির্ধারণ করে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো। কৃষক যাতে উৎপাদিত ফসলের যথাযত দাম পায় আমরা সেটা নিশ্চিত করবো। কোন সিন্ডিকেট যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার হাওরে কৃষিতে বিপুল বরাদ্দ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হাওরের কৃষকদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। আগামীতে যন্ত্রসহ কৃষিতে আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, কৃষকদের কাজ এখন সহজ হয়েছে। আমি নিজেও কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে উপকার পেয়েছি। সহজেই ধান কাটা, মাড়াই করা যাচ্ছে। তবে এসব যন্ত্র প্রদানে অনিয়ম, কম্পানির উদাসীনতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।