হাওর ডেস্ক::
কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), স্থানীয় সরকার সচিব ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে এ তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৪ এপ্রিল) রুলসহ এ আদেশ দেন। রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
স্থানীয় সরকার সচিব, সিইসি, ইসি সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ ১৭ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আরও কিছু জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা হয়েছে।
ঈদগাঁও ইউনিয়নে অন্তত ৩৭০ জন রোহিঙ্গাকে জন্ম নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ৩৮ জন রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বছর ২৯ অক্টোবর ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উঠে আসে অভিযোগ ওঠা ৩৮ জনের মধ্যে ৩৫ জন রোহিঙ্গা।
তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটার করা হয়েছে।’
এ আইনজীবী বলেন, ‘কিন্তু এই ৩৫ জন রোহিঙ্গার কারো বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাদের ভোটার তালিকায় রেখেই ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হাইকোর্টে রিট করেন।’
এই ৩৫ রোহিঙ্গাকে বোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।