স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জে আকস্মিক বন্যা প্রতিরোধে নদী খননের প্রয়োজনীয়তা, বন্যা মোকাবিলা ও শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রতি বছর হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের ফলে হাওর ও নদী ভরাট হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক পদ্দতি গ্রহণ করে বাঁধ নির্মাণ করা না হলে নদী ও হাওর ভরাট হয়ে আকষ্মিক বন্যা সৃষ্টির পাশাপাশি ফসলহানির ঘটনাও ঘটবে। শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তে সচেতন নাগরিকের সংগঠন জনউদ্যোগ এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জ জনউদ্যোগের আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাইদুর রহমান আসাদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিউর রহমান, সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য, কবি ও লেখক কুমার সৌরভ, উন্নয়নকর্মী নির্মল ভট্টাচার্য্য, জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব বিন্দু তালুকদার, শিক্ষক কানিজ সুলতানা, অ্যাড. মতিয়া বেগম, সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক শহীদনুর আহমেদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জে আকস্মিক ও অতি বন্যায় মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য পরিকল্পিতভাবে নদীর উৎস মুখ থেকে খনন করতে হবে। প্রতিবছর হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের মাটি গিয়ে হাওর ও নদী ভরাট হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, যাতে করে বাঁধের মাটি গিয়ে নদী ও হাওর ভরাট হয় না সেজন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পৌরবাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, যত্রতত্র প্লাস্টিক, পলিথিন ও ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত দখল হওয়া খালগুলো দখলমুক্ত করে অবাধ পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি শহরের কয়েকটি খাল সংকোচিত করে সরু ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে খালের দু’পাশ অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। খালকে ড্রেন নয়, বরং খালকে খাল হিসেবেই খনন করতে হবে। শহরকে নিরাপদ করতে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রস্তাবনাগুলো পৌরসভা, জেলা প্রশাসক ও সরকারের উর্ধতন দপ্তরে পাঠানোর আহ্বান জানান বক্তারা।