অনলাইন::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিজয় উৎসব করে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট বিজয়ের অংশ হলেন। ঢাকা টেস্টের আজ চতুর্থ দিনের প্রথমার্ধে অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম উইকেট পতনে বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন একজন উৎসুক ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে শেখ হাসিনা দুপুরের খাবার খেয়েই তাঁর নাতি ও সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের ছেলে জারিফকে সঙ্গে নিয়ে এই ঐতিহাসিক বিজয় প্রত্যক্ষ করতে ছুটে যান মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। তিনি যখন স্টেডিয়ামে পৌঁছান, তখন টাইগারদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে তখন মাত্র দুই উইকেট বাকি ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমূল হাসান পাপন ও বিসিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ম্যাচের শেষ মুহূর্ত উপভোগ করেন এবং স্টেডিয়ামের ভিআইপি লাউঞ্চ থেকে জাতীয় পতাকা নেড়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেন।
ম্যাচের ফলাফল নিয়ে সমগ্র স্টেডিয়ামে যখন টান টান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছে, তখন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ব্যতিক্রমী। তিনি ভিআইপি লাইঞ্জে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই, আমরা বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ ব্যাটসম্যান জোস হাজলিউড যখন এলবিডাব্লিউ হয়ে আউট হয়ে যান, তখন প্রধানমন্ত্রী তাঁর আসন থেকে উঠে দাঁড়ান এবং এরপরই বিসিবি সভাপতি পাপন জাতীয় পতাকা তাঁর হাতে তুলে দেন।
শেখ হাসিনা তাঁর নাতি জারিফকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা দুলিয়ে বিজয় উল্লাস করেন। পরে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বিজয় দেশবাসীর জন্য একটি ঈদ উপহার। প্রধানমন্ত্রী পরে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ সাকিব আল হাসানসহ বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের পিট চাপড়িয়ে অভিনন্দন জানান এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে ফটো সেশন করেন।
যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল, বিসিবি পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেট ক্যাপটেন নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং দলের কোচ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ঐতিহাসিক টেস্ট বিজয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী এই ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য ন্যাশনাল টিমের সকল খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধূলায় তাঁর সরকারের যথাযথ নজর ও সহায়তা দেয়ায় এই বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি এ সময়ে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত টেস্ট মযার্দা ও অন ডে স্টেটাস অজর্নের কথাও স্মরণ করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই বিজয় ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ একদিন ওয়ার্ল্ডকাপ ক্রিকেটে খেলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।